১. রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন০ এ্যাক্ট ২০০৪ এর ১৭ এ ধারার বিধান অনুসারে বায়না সম্পাদনের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দলিলটি রেজিস্টির জন্য তা গ্রহণ করা হবে না।
২. ৩০ দিনের পরে দাখিলকৃত দলিলটি রেজিস্ট্রির জন্য তা গ্রহণ করা হবে না।
৩. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদালতের কোন রায়/ডিক্রি বা আদেশ থাকলে এবং উক্ত উক্ত রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে কোন আপিল হলে তা নিস্পত্তির পর দলিলটি রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করা যাবে।
দলিল সম্পাদন:
দলিলে দলিল দাতার স্বাক্ষর বা টিপসহি প্রধানকে বলা হয় দলিল সম্পাদন করা। দাতা যে তারিখে ও যে সময়ে দলিলে স্বাক্ষর করবেন সে তারিখ ও সে সময় হইতে দলিল সম্পাদিত হলো বলে গণ্য হবে। রেজিস্ট্রির পর দলিলটির দাতার স্বাক্ষরের তারিখ হতেই কার্যকর হবে।
সম্পাদন পক্রিয়া:
১.একজন অভিজ্ঞ বা দক্ষ সিভিল ল’ ইয়ার বা দলিল লেখককে দিয়ে লেখার কাগজটি করা উচিত।কারণ লেখকের অজ্ঞতা ও অবহেলার জন্য ক্রেতাকে অনেক সময় বিপদে পরতে হয়।
২. বায়না দলিল সম্পাদনের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে ।
৩. সতর্কতার সঙ্গে দলিল সম্পাদনকালে জমির তফসিল দলিলে লিখতে হবে। যে সকল দাগে জমি ক্রয় করা হচ্ছে তাতে মোট কত জমি আছে এবং বিক্রেতার তাতে হিস্যা কতুটুকু আছে তা দেখে প্রতি দাগে আলাদা কাতে পরিমাণ উল্লেখপূর্বক দলিল সম্পাদ করতে হবে।
৪. দলিল সম্পাদন প্রক্রিয়াটি নতুন ফর্মেটে (যারা প্রজ্ঞাপন তারিখ ২৩ চৈত্র,১৪১১/৬ এপ্রিল ২০০৫ ইং) হতে হবে।
৫. দলিলে দূর্বোধ্য শব্দবলি যেমন- ইয়াদকির্দ্দ, স্হানে লিখিতং, কস্য, পত্রমিদং কার্যাঞার্থে ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
৬. জমি ক্রয়কালে সংগৃহীত সকল দলিল, ভায়া দলিল, পর্চা, নকশা, ফরায়েজ নিজের সংরক্ষন করতে হবে । যা সারা জীবনই কাজে লাগবে।
৭. দলিল রেজিস্ট্রির সময় দলিলের রশিদ সাব-রেজিস্টার অফিস হতে সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে হবে । যা দিয়ে পরবর্তীতে মূল দলিল উঠানো যাবে।
৮. দলিল সম্পাদনের সাথে সাথে দখল বুঝে নিতে হবে, দখল স্বত্বের পরিপূরক।
সূত্র: জমিজমার আইন
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন