অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য বুঝার পূর্বে আমাদের ব্লগের অন পেজ এসইও সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ে নিবেন। তাহলে আপনি অন পেজ এসইও সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবেন।
একটি ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও এর কাজ ওয়েবসাইটের ভীতরে করা হয়। যেমন- কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, টাইটটেল ট্যাগ, ম্যাটা ট্যাগ, কিওয়ার্ড রিসার্চ ও ব্যবহার, ইন্টারন্যাল লিংকিং এবং ইমেজ অপটিমাইজ সহ আরো কিছু কাজ যেগুলো নিজে নিজে ওয়েবসাইট অপেন করে অপটিমাইজ করা সম্ভব হয়।
কিন্তু অফ পেজ এসইও এর কাজ আপনার ওয়েবসাইটের ভীতরে করতে পারবেন না। তুলনামূলকভাবে অন পেজ এসইও এর চাইতে অফ পেজ এসইও করা অনেক কঠিন। কারণ অফ পেজ এসইও এর কাজ ব্লগের বাহিরে করতে হয় বিধায় অফ পেজ এসইও করা কিছুটা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বিশেষকরে লিংক বিল্ডিং করার ক্ষেত্রে একজন এসইও এক্সপার্টকে বেশ সমস্যা পড়তে হয়। এই দুইয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে অন পেজ এসইও ওয়েবসাইটের ভীতরে করা যায় কিন্তু অফ পেজ এসইও ওয়েবসাইটের ভীতরে করা যায় না।
লিংক এবং অফ পেজ এসইও
আমি আগেও বলেছি ব্যাকলিংক হচ্ছে অফ পেস এসইও এর প্রাণ। একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট হচ্ছে কিং এবং ভালোমানের কনটেন্ট হচ্ছে সব ধরনের এসইও এর রাজা। সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধিতে গুগল একটি ওয়েবসাইটের পোস্টের আর্টিকেল খুব গুরুত্বের সহিত যাচাই করার পর কোন ধরনের কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেলে, তবেই গুগল পোস্টের র্যাংক করায়। Moz এর ভাষ্য অনুসারে ৩ ধরনের লিংক রয়েছে। যথা-
- Natural Links: যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের কোন একটি পোস্ট শেয়ার করে তখন সেটাকে Natural Link হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র ভালোমানের আর্টিকেল লিখতে পারলে কেবলমাত্র এ ধরনের লিংক পাওয়ার আশা করা যায়।
- Manually Built Links: এটা অনেকটা লিংক বিনিময় করার মত। সাধারণত চুক্তির মাধ্যমে অন্যের ব্লগের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করা এবং আপনার ব্লগের লিংক অন্যের ব্লগে লিংকিং করাই হচ্ছে Mannually Links Bulding.
- Self-Created Links: কমেন্ট ব্যাকলিংক, ইনফোগ্রাফিক, গেস্ট পোষ্ট, ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে লিংক তৈরি করাকে Self-Created Links বলে। কোয়ালিটি ও রেলিভেন্সি ছাড়া বর্তমানে এ ধরনের ব্যাংলিংকস র্যাংক বৃদ্ধি করতে পারে না।
কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন?
একসময় ছিল যখন খুব সহজে অফ পেজ এসইও করা সম্ভব হত। কারণ শুধুমাত্র যেন তেন উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারলে একটি ওয়েসাইট সহজে গুগলে র্যাংক করতে পারত। কিন্তু সম্প্রতি গুগল র্যাংক ব্রেইন এলগরিদম আপডেট করার ফলে একটি ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করানো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালের পূর্বে একটি ওয়েবসাইটে যেকোন ধরনের NoFollow লিংক তৈরি করতে পারলেই গুগল সেই ওয়েবসাইটের লিংককে গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে র্যাংক দিয়ে দিত। কিন্তু গুগল র্যাংক ব্রেইন এলগরিদম আপডেট করার ফলে গুগল এখন NoFollow ব্যাকলিংককে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। সেই সাথে যে সকল DoFollow লিংক রিলেভেন্ট নয় সেগুলোকেও গুগল কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাশাপাশি যে সকল রিলেভেন্ট DoFollow লিংক হতে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসে না, সেই ব্যাকলিংককেও গুগল ব্যাংকলিংক হিসেবে বিবেচনা করে না।
কাজেই আপনি যদি মনে করেন যে, শুধু শুধু অন্যের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করলেই আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি পাবে, তাহলে আপনি এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বরংচ অন্যের ওয়েবসাইটে কারণ ছাড়া অতিরিক্ত লিংকিং করলে আপনার সাইটের র্যাংকিং ডাউন হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।
সেই সাথে পূর্বে একটি ওয়েবসাইটের পোস্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলেই গুগল সেই ওয়েবসাইটের পোস্টকে গুরুত্ব দিত। কিন্তু গুগল এখন বলছে যে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করলেই হবে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করার পর যে পোস্টের এনগেজমেন্ট বেশি থাকবে সেই পোস্ট সার্চ র্যাংকিং পাবে। আর যে পোস্টে কোন ধরনের এনগেজমেন্ট থাকবে না সেই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হওয়া সত্বেও র্যাংকিং বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখতে পারবে না।
অফ পেজ এসইও করার উপায় কি?
আপনার মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে এখন অফ পেজ এসইও করার উপায় কি? অবশ্যই উপায় আছে। তবে এতটা সহজে এখন অফ পেজ এসইও করতে পারবেন না। অফ পেজ এসইও করে র্যাংক বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আপনাকে এখন থেকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং স্মার্টনেস দেখাতে হবে। নিচের কয়েকটি অফ পেজ এসইও টেকনিক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসােইটের র্যাংক বৃদ্ধি করতে পারবেন।
১। ব্যাকলিংক তৈরি করা
যারা শুধুমাত্র ব্লগিং করেন তাদের ক্ষেত্রে সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অফ পেজ এসইও হচ্ছে লিংক বিল্ডিং করা। তবে ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রেও কিছু রেসটিকশন রয়েছে। শুধুমাত্র কমেন্ট করে অবাঞ্চিত ব্যাকলিংক তৈরি করা যাবে না। আপনি যে ওয়েবসািইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন সেই ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি এবং পোস্টের রেলিভেন্সি যাচাই করার পর যুক্তি যুক্ত উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।
ব্রোকেন লিংক এর সংজ্ঞা এভাবে দেয়া যায়, মনে করুন আপনার একটি হেলথ রিলেটেড সাইট আছে। সাইটটির নাম, abc.com। আপনি সাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখলেন, এবং কন্টেন্ট এ এক্সটারনাল লিংক হিসেবে টপিকস অন্য কোন সাইটের ১বা ২ টি লিংক এড করলেন। কিন্তু কয়েকমাস পর ঐ সাইট টি ইনএকটিভ হয়ে গেল (অথবা সাইট উনার লিংকটি চেঞ্জ করে ফেললে)। তখন কোন ভিজিটর যখন আপনার সাইট থেকে ঐ সাইট এ যাওয়ার চেষ্টা করবে, লিংক টি 404 ERROR দেখাবে। আর এটাকেই বলে ব্রোকেন লিংক(ডেইথ লিংক)।
অর্থাৎ, কোন সাইটের এক্সটার্নাল লিংকগুলোর মধ্যে যে সকল লিংক 404 ERROR দেখায়, তাদের কে ব্রকেন লিঙ্ক বা ডেইথ লিংক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
২। ব্রোকেন লিংক এর গুরুত্বঃ
এই লিংক এর গুরুত্ব অন্যান্য লিংক এর তুলনায় কম নয়, বরং একটু বেশি। আপনি কোন সাইটের ব্রোকেন লিংক বের করবেন? অবশ্যি আপনার নিশ রিলেটেড যে সকল সাইট সার্চ ইঞ্জিন ফার্ট পেইজ এ অবস্থান করবে। আর এ সকল সাইটে প্রতিনিয়ত সহস্রাধিক ভিজিটর হয়ে থাকে। একবার ভাবুন যদি ঐ সকল সাইটের ব্যাকলিংক পেয়ে যান, তো আপনার সাইট এর ভিজিটর কেমন হবে!
শুধু তাই নয়, আপনি চেষ্টা করলে Wikipedia কিংবা wikihow এর মতো সাইটেও এ লিংক বিল্ড আপ করতে পারেন। তবে এখানে লিংক পেতে হলে আপনাকে অত্যন্ত দক্ষ এবং বিচক্ষনতার পরিচয় দিতে হবে।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট
একসময় শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার বলা হত কিন্তু এখন সেটা সোশ্যাল মিডিয়াল এনগেজমেন্ট বলা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে র্যাংকিং বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর সেই পোস্টের লিংকে ক্লিক করে যখন লোকজন ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখন সেই সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বৃদ্ধি করতে পারবে।
সে জন্য আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোন পেজ ও গ্রুপে পোষ্ট শেয়ার করার পূর্বে যাচাই করে নিবেন যে, আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার মত কোন লোক সেখানে আছে কি না। এন্ড্রয়েড সংক্রান্ত একটি ফেসবুক গ্রুপে এসইও সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করলে সেই পোস্ট কেউ পড়তে আসবে না। কাজেই অর্ডিয়ান্স টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়েবসাইটের পোস্ট শেয়ার করলে তবেই এনগেজমেন্ট পাওয়া সম্ভব এবং ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বাড়ানো সম্ভব হবে।
৪। গেস্ট পোস্টিং
অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যারা গেস্ট পোস্ট রিসিভ করে। আপনার ব্লগের সাথে রিলেভেন্ট ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করতে পারেন। গেস্ট পোস্ট এর মাধ্যমে যে ব্যাকলিংক তৈরী করবেন তা আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। তাছাড়া গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ভালোমানের ব্লগারদের সাথে পরিচিত হয়ে কমিউনিটি তৈরি করা যায়। যা আপনাকে পরবর্তীতে ব্যাংকলিংক এনে দিতে সহায়তা করবে।
তবে গেস্ট পোস্টের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখবেন, আপনি যে ব্লগটিতে লিখবেন সেটা আপনার নিস রিলিভেন্ট হতে হবে। সেই সাথে ঐ ব্লগের র্যাংক, ডোমেইন অথরিটি ও PA and DA যাচাই করার পর গেস্ট পোস্ট করবেন। যেই ব্লগের পোস্ট আমার ব্লগের বিষয়ে সাথে মিল নেই সেই ব্লগে কখনো গেস্ট ব্লগিং করবেন না। কারণ এতেকরে প্রাপ্ত ব্যাকলিংক আপনার ব্লগের র্যাংক বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না।
৫। ফোরাম পোষ্টিং
ব্যাকিলিংকস বৃদ্ধি করার জন্য ফোরাম পোস্টিং হচ্ছে অফ পেজ এসইও এর আরেকটি কৌশল। অনলাইনে অনেক ভালোমানের ফোরাম রয়েছে, যেগুলোতে জয়েন করে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে এবং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও আপনাকে খেয়ালা রাখতে হবে, যে ফোরাম থেকে লিংক বিল্ড করবেন সেটা যেন আপনার ব্লগ রিলেটেড হয়। তা না হলে ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করে কোন ফায়দা হবে না।
৬। ব্রান্ডিং
আপনার ওয়েবসাইট এর ব্রান্ডিং তৈরি করতে পারলে অনায়াসে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত একটি নরমাল ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয় না। যে সকল ওয়েবসাইটের বয়স অনেক দিন হয়েছে এবং যাদের ওয়েবসাইট প্রচুর পরিমানে পরিচিত, কেবলমাত্র তারাই তাদের ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং তৈরি করতে পারে।
ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং তৈরি হলে মানুষ সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে গুগলে সার্চ করতে থাকবে। যার ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে সবার পরিচিত নামকরা ওয়েবসাইট হিসেবে ধরে নিয়ে র্যাংকিং অনায়াসে বৃদ্ধি করবে। সাধারণত অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচুর পরিমানে প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হয়।
৭। লোকাল এসইও
লোকাল এসইও হলো কোন নির্দিষ্ট অর্ডিয়েন্সকে টার্গেট করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানোর জন্য অপটিমাইজ করা। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কোন নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের মানুষদের টার্গেট করে তৈরি করা হয়, তাহলে আপনাকে লোকাল এসইও এর প্রতি ফোকাস করতে হবে। কারণ বাংলা ওয়েবসাইট যেহেতু শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ বেশি ভিজিট করে সেহেতু আপনাকে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষকে টার্গেট করে অফ পেজ এসইও করতে হবে।
সেই সাথে আপনার ওয়েবসাইট যদি কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জেলার মানুষকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়, তাহলে আপনাকে সেই এলাকার অর্ডিয়েন্সকে টার্গেট করে লোকাল এসইও করতে হবে। বর্তমান সময়ে গুগল লোকাল এসইও এর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং স্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো যত ভালোভাবে লোকাল এসইও করছে, তত সহজে সফল হতে পারছে।
ধরুন, সিলেট জেলা শহরে আপনার একটি কম্পিউটার শপ আছে। আপনি কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সহ আনুষাঙ্গিক ইলেকট্রনিক একসোসরিজ বিক্রি করেন। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের অর্ডিয়েন্স হবে সিলেট জেলা ও আশপাশের কিছু জেলা। এ ধরনের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গ্লোবাল এসইও না করে লোকাল এসইও এর প্রতি বেশি ফোকাস করতে হবে।
৮। গুগল মাই বিজনেস
ব্যবসায়িক প্রোফাইল তৈরি করার জন্য Google My Business হচ্ছে গুগল এর একটি ফ্রি সার্ভিস। ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে আপনার কোন ওয়েবসাইট থাকলে গুগল মাই বিজনেস এ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি প্রোফাইল ক্রিয়েট করে রাখতে পারেন। Google My Business প্রোফাইলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের তথ্য দিয়ে রাখতে পারবেন। বিশেষকরে কোন কোন দিনগুলোতে কতক্ষণ আপনার ব্যবসা চালু থাকে এবং কখন বন্ধ হয়, ইত্যাদি তথ্য সহ আরো অনেক তথ্য Google My Business প্রোফাইলে দিয়ে রাখতে পারবেন। যার ফলে গুগল আপনার ব্যবসার ধরণ জেনে নিয়ে কাষ্টমারদের সঠিক তথ্য দিতে পারবে।
Moz এর ভাষ্য অনুসারে সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধিতে Google My Business গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে লোকাল বিজনেস এর ক্ষেত্রে একটি গুগল মাই বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট করে সেখানে সকল তথ্য সহ মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে রাখলে গুগল একটি স্থানিয় ব্যবসার ওয়েবসাইটকে সহজে সার্চ র্যাংকিং প্রদান করে।
৯। গুগল মাই বিজনেস রিভিউ
এ বিষয়েও Moz বলছে গুগল মাই বিজনেস এর প্রোফাইলে অর্ডিয়েন্সদের পজিটিভ রিভিউ থাকলে গুগল সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি পায়। গুগল মাই বিজনেস পজিটিভ রিভিউ পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট ও কনটেন্ট কোয়ালিটি সবসময় ভালো করতে হবে। তবে গুগল মাই বিজনেস পেজে আপনার অর্ডিয়েন্সরা নেগিটিভ রিভিউ দিলে আপনার র্যাংকিং হিতের বিপরীত হতে পারে। কজেই বিষয় মাথায় রেখে একটি গুগল মাই বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করতে পারলে সহজে কোম্পানির সফলতা পাওয়া সম্ভব।