এই চুক্তিনামা অদ্য ০১/০১/২০২১ ইং সনে করা হইল।
মিসেস আনোয়ারা বেগম, স্বামী মৃত আবুল খায়ের ভূঞা, গ্রাম-সাইনাল, পোষ্ট- কাঞনপুর, থানা-রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম
==== মালিক/১ম পক্ষ।
মোঃ লিটন হোসেন, পিতা মোঃ নবী হোসেন, মাতা মোসাঃ নাছিমা বেগম, গ্রাম-বিজয়নগর, পোষ্ট-বারদী, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম
==== ভাড়াটিয়া/২য় পক্ষ।
পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র দোকান ঘর ভাড়া চুক্তিনামা লিখিতে আরম্ব করিলাম। যেহেতু আমি প্রথম পক্ষ মালিক নিন্ম বর্ণিত দোকান ঘরটি ভোগ দখলকার আছি। বর্তমানে আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন বিধায় দোকান ঘরটি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত দোকান ঘরটি ভাড়া নিতে রাজি হইয়াছেন। সেই মোতাবেক আমরা উভয় পক্ষ নিম্ন লিখিত শর্ত সমূহে একমত হইয়া অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করিলাম।
শর্তসমূহ
০১। দোকান ঘরের ভাড়ার মেয়াদ ইংরেজী ১০/০৭/২০২১ ইং হইতে ১০/০৭/২০২৪ ইং সন পর্যন্ত ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
০২। দোকান ভাড়ার অগ্রীম জামানত দ্বিতীয় পক্ষ ৫০০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রথম পক্ষ এর নিকট জমা প্রদান করিবেন।
০৩। প্রতি মাসের ভাড়া ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করিবেন। যাহা প্রতি মাসের ০৫ ইং তারিখের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের বরাবরে নগদ বুঝাইয়া দিবেন।
০৪। আপনি দ্বিতীয় পক্ষ চুক্তিকালীণ সময়ে ব্যবহৃত বিদ্যুতিক বিল, যাহা দোকান ঘরের বরাবরে হইবে অবশ্যই দ্বিতীয় পক্ষ পরিশোধ করিয়া প্রথম পক্ষকে রশিদ বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৫। দ্বিতীয় পক্ষ তফসিল বর্ণিত দোকানে কোন রকম বে-আইনী মালামালের ব্যবসা করিতে পারিবেন না। যদি নিষিদ্ধ জিনিসের ব্যবসা সংক্রান্ত কোন জটিলতা দেখা দেয় তবে উহা দ্বিতীয় পক্ষ সম্পূর্ণরূপে দায়ী হইবে।
০৬। দ্বিতীয় পক্ষ দোকানের পজেশনে থাকা অবস্থায় কোনরূপ সমাজ বিরোধী বা সরকার বিরোধী কার্যকলাপ অথবা সরকার ঘোষিত অবৈধ কোন ব্যবসা করিতে পারিবেন না।
০৭। প্রয়োজন অনুসারে যদি দোকান ঘরটি খালী করিয়া দিতে ও নিতে হয় তাহা হইলে উভয় পক্ষ তিন মাস আগে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবগত করিতে/করাইতে হইবে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, দ্বিতীয় পক্ষ যথাযথভাবে দোকান ঘরটি প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন এবং প্রথম পক্ষের কাছ থেকে জামানতের টাকা বুঝিয়া নিবেন। উহা উভয় পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।
০৮। উক্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হইলে দ্বিতীয় পক্ষ যথাযথভাবে দোকান ঘরটি প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন এবং প্রথম পক্ষ থেকে জামানতের টাকা বুঝিয়া নিবেন। বকেয়া বাবদ কোন পাওনা থাকিলে প্রথম পক্ষ তাহা কাটিয়া রাখিয়া বাকী জামানতের টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন।
০৯। তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন ভাড়া নির্ধারণ করিয়া ইচ্ছা করিলে উভয় পক্ষ পুনরায় ভাড়া নিতে/দিতে পারিবেন।
১০। দোকান ঘরের শার্টার মেরামতের কাজ মালিক ১ম পক্ষ করাইয়া দিবেন।
১১। প্রকাশ থাকে যে, উভয় পক্ষ চুক্তির শর্তাবলী মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন। চুক্তির কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে উক্ত চুক্তিপত্র বাতিল বলিয়া গন্য হইবে। উহা উভয় পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য শরীরে, অত্র দলিল পাঠ করিয়া লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ণ রূপে অবগত হইয়া অন্যের বিনা প্ররোচনায় বিনা অনুরোধে আমরা উভয় পক্ষ নিজ নিজ সহি/স্বাক্ষর করিলাম। ইতি তারিখঃ ১০/০৭ /২০২১ ইং।
দোকান ঘরের পরিচয়
জিলা-নারায়নগঞ্জ, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, দাগ নং-৫৬৭, সি এস ৪৫, এস এ ৪৩, আর এস ৮৫৬ মৌচাক রোড মিজমিজি জমির পরিমাপ সাড়ে ৫ শতাংশ। যাহার চৌহুদ্দীঃ উত্তরেঃ আলম সোপ ফেক্টরী, দক্ষিণেঃ রাস্ত, পূর্বেঃ রাস্তা ও পশ্চিমেঃ দেলোয়ারা বেগম।
এই চৌহুদ্দীর অন্দরের দোকান ঘরখানা অত্র চুক্তিনামা দলিল দ্বারা আমি মালিক ১ম পক্ষ ভাড়া দিলাম এবং আমি ভাড়াটিয়া ২য় পক্ষ ভাড়া নিলাম।
অত্র চুক্তিনামা (৩) পাতায় কম্পোজকৃত এবং (৩) জন স্বাক্ষী বটে
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ মালিক/১ম পক্ষ।
১।
২।
৩। ভাড়াটিয়া/২য় পক্ষ।
OR
লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করতে পারেন
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন