কিছু দলিল যেমন- বায়নাপত্র দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দলিল, উইল দলিল, অছিয়ত দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে “… বাতিলকরণ দলিল” রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষ তা বাতিল করতে পারে। দলিল জাল হলে সেই দলিল বাতিলের ক্ষমতা সাব-রেজিস্ট্রার এর নেই।
আইনে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাতিলের ক্ষমতা আদালতের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তাই দলিল বাতিলের জন্য আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারায় রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাতিলের বিধান লেখা রয়েছে। এ ধারা মোতাবেক, যে কোন ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে লিখিত চুক্তি বাতিল কিংবা বাতিলযোগ্য, যার যুক্তিসঙ্গত সম্ভাবনা আছে যে, সেরূপ দলিল যদি অনিস্পন্ন অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়, তবে তার গুরুতর ক্ষতির কারন হবে; তবে সে দলিলটি বাতিল বা বাতিলযোগ্য ঘোষনার জন্য মোকাদ্দমা দায়ের করতে পারে এবং আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে উক্ত রূপে রায় প্রদান করতে পারেন ও চুক্তিটি বাতিল করার নির্দেশ দিতে পারেন।
তবে যদি কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত হয়ে থাকে (অর্থাৎ বালাম বহিতে নকল বা কপি হয়ে থাকে), তবে আদালত এরূপ ডিক্রীর একটি কপি সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরন করবেন। আদালতের আদেশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, দলিলটি রেজিস্টার বইয়ের যে পৃষ্টায় নকল হয়েছে সেখানে বিলুপ্তির বিষয়ে টীকা লিপিবদ্ধ করবেন।
কোন রেজিস্ট্রিকৃত দলিল আদালতে জাল বা কপট পরিচয় প্রদানকারী ব্যক্তির মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত হয়েছে মর্মে ঘোষিত হলে, সংশ্লিষ্ট আদালত হতে ডিক্রির নকল প্রাপ্তির পর রেজিস্ট্রি অফিসে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বহিতে নকলের মার্জিনে এবং প্রাপ্তি সাপেক্ষে দলিলটিতেও উক্ত বিষয়ে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৪৭৩ ধারায় মামলা করা যায়। বিচারক চাইলে সেই মামলা সরাসরি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিতে পারেন। তা ছাড়া মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠাতে পারেন। তদন্তে দলিল ভুয়া প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিতে পারবেন আদালত।
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন