বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
Logo
নোটিশ :
Wellcome to our website...

ডোমেইন, হোস্টিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি? বিস্তারিত তথ্য জানুন।

মোঃ নাছির উদ্দিন / ১১১৯ বার
আপডেটের সময় শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

ডোমেইন নেম কি?

ডোমেইন হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইটের নাম যেমন, www.google.com এটি একটি ওয়েব সাইট যা সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে দেখতে পারে। এখানে তিনটি W হচ্ছে যথাক্রমে world wide web আর google.com হচ্ছে সেই ওয়েব সাইটের মূল নাম। প্রথমত এই ওয়েব সাইটের একটি আইপি এড্রেস থাকে যা প্রত্যেক ওয়েব সাইটের থাকে আপনি চাইলে সেই আইপি আপনার ব্রউজারের এড্রেসবারে দিয়ে ওয়েব সাইটটি দেখতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি সব ওয়েব সাইটের আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারবেন কিন্তু ডোমেইন নেম থাকলে আপনি তা সহজেই মনে রাখতে পারবেন

ডোমেইনের গঠনঃ

প্রত্যেক মূল ডোমেইন নেমের দুটি অংশ থাকে। একটিতে নাম এবং আরেটিতে এক্সটেনশন যেমন, www.google.com এখানে google হচ্ছে ডোমেইন নেম এবং .com হলো এক্সটেনশন। এসব এক্সটেনশনগুলো ওয়েবসাইটের এবং প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সিলেক্ট করা হয়ে থাকে। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী ডোমেইনে এক্সটেনশনের উদাহরন দেওয়া .com এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডোমেইন এক্সটেনশন। সাধারনত এটি কমার্শিয়াল কোম্পানির ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হ.net এটি এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হয.org এটি অর্গানাইজেশন বা অলাভজনক সংগঠনের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হয়.info এটি তথ্যভিত্তিক বা ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটের জন্য ব্যবহার করা হয়.me এটি সাধারনত ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটর জন্য ব্যবাহার করা হয়।

জেনে নেই TLD ও CCTLD কি?

TLD মানে Top Level Domain, উপরে যেসব ডোমেইনের উদাহরন দেখানো হয়েছে তা সবই Top Lavel Domain ।ccTLD হলো country code top level domain যা বিভিন্ন দেশের জন্য নির্দিষ্ট করা কিছু ডোমেইন থাকে যেমন, .com.bd/.in/.PK

ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার সময় যেসব বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেনঃ

১। সহজ নাম নির্বাচন করতে হবে যাতে সবাই সহজে মনে রাখতে পারে।

২। নাম সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে যাতে দেখতে এবং শুনতে সুন্দর লাগে আর মনে রাখতে ও সহজ হবে।

৩। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে নাম ঠিক করতে হবে যেমন, ইকমার্স ওয়েব সাইটের জন্য shop or store রিলেটেড নাম দিতে হব

৪। বড় কোন কোম্পানির নামের সাথে মিল রেখে নাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এতে আপনার ওয়েবসাইট র্যঙ্ক হবে ন

৫। আপনার পছন্দের ডোমেইনটি খালি আছে কিনা তা ডোমেইন কেনার ওয়েব সাইটে সার্চ দিয়ে দেখে নিন

ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেনঃ

১। যে কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনবেন তাদের সাথে ডোমেইনের প্রাইজ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলে নিন।

২। পরের বছরের রিনিউ চার্জের পরিমান জেনে নিবেন। অনেক প্রোভাইডার অফার দিয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রয় করে তবে রিনিউয়ের সময় সাধারন মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি চার্জ করে।

৩। ফুল কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে নিবেন EPP কোড সহ যাতে পরে কোন সমস্যা হলে আপনি ডোমেইন ট্রাস্ফার করো অন্য প্রোভাইডারে যেতে পারেন এবং রিনিউ করতে পারেনে।

ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের বিষয় গুলিঃ

প্রথম অবস্থায় ডোমেইনের কন্ট্রোল প্যানেল দেখলে আপানার মনে হতে পারে ডোমেইন ম্যানেজ করা অনেক কঠিন কিছু আসলে কিন্তু তা নয়। এটি অনেক সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। কন্ট্রোল প্যানেলে অনেক কিছুই দেওয়া থাকে তার মধ্যে আপনাকে যে মূল ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে তা আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

১। Contact Details : এই সেকশনে আপনি দেখতে পাবেন যে ডোমেইন টি কার নামে কেনা বা এটি রেজিস্টেশনে কোন ইমেইল ব্যবহার করা হয়েছে। যদি আপনাকে ফুল কোন্ট্রোল প্যনেল দেওয়া হয় আপনি চাইলে সব ডিটেইলস পরিবর্তন করতে পারবে

২। Privacy Protection: সম্ভব হলে এই প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবেল করে রাখবে। এটি করার জন্য আপনাকে বছরে ২-৪ ডলার পে করা লাগতে পারে। এটি করার উদ্দেশ্যে হলো অনেক সময় Whois থেকে ডোমেইনের মালিকের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার নিয়ে স্পামিং করা হয

৩। Name Server: ডোমেইন কেনার পর আপনার ডোমেনের কন্ট্রোল প্যানেলে আপনার হোস্টিং এর নেম সার্ভার বসিয়ে দিবেন যেটি আপনাকে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার দিয়েছে। নেম সার্ভার দেখতে অনেকটা নিচের মত হns1.w3techniques.com

ns2.w3techniaues.com

৪। Domain Secret: এটি হচ্ছে সবচেয়ে সেনসিটিভ একটা বিষয়। আপনার ডোমেইন প্যানেলে ডোমেন সিক্রেট অপশনে আপনি একটা কোড পাবেন যাকে EPP Code বলে। এই কোডের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন যেকোন সময় অন্য প্রোভাইডারে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। যেমন Name Cheap ট্রান্সফার করে W3 Techniques এ নিয়ে আসব

৫। Theft Protection: ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন এর পর পরই থেফ্ট প্রোটেকশন অন করে রাখা উচিত এতে করে আপনার ডোমেইনের EPP Code অন্য কারো কাছে থাকলেও সে আপনার ডোমেইন ট্রান্সফার করে নিতে পারবে না।

হোস্টিং কি? (What is hosting)

লেখার শুরুতে বলছি হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সার্ভিস যেটির মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ ইন্টারনেট জগতে চালু করা যায়। আমরা যখন কোন হোস্টিং প্রোভাইডার হতে হোস্টিং ক্রয় করি, তখন অনলাইনে ওয়েব সার্ভার এ আমার জন্য কিছু জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

আর এই ওয়েব সার্ভার এমন একটি কম্পিউটার যেটিতে সর্বদা নেট কানেকশন থাকে। এ সার্ভার ক্রয় করা জায়গাতে আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগ রাখি, তাছাড়া অডিও, ভিডিও, ফাইল ইমেজ লেখা পাবলিশ করি তখন সেগুলো এই সার্ভারে জমা হতে থাকে।

ওয়েব সার্ভার সর্বদা ইন্টারনেটের সঙ্গে কানেক্ট করা থাকে, যার ধরুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে access করতে পারি। তবে, এর জন্য আমাদের একটি ডোমেইন নাম ক্রয় করতে হয়। তারপর এই ডোমেইনটিকে আমাদের ক্রয়কৃত সার্ভারের সাথে কানেক্ট করতে হয়।

হোস্টিং কত প্রকার?

হোস্টিং বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যেগুলো বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

  • শেয়ার হোস্টিং (share hosting)
  • ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং(V.P.S – virtual private server)
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং (dedicated hosting)

১. শেয়ার হোস্টিং কি? (What is share hosting)

যে হোস্টিং এ অনেক গুলো ওয়েবসাইট রাখা হয়ে থাকে সেটিকে শেয়ার হোস্টিং বলা হয়। উদাহরণ- আপনার একটি ঘর আছে যাতে পরিবারের সকল সদস্য ভাগাভাগি করে থাকছেন।

এখানে আপনার ঘরটি হলো একটি ওয়েব সার্ভার এবং আপনি ও আপনার ফ্যামিলি হলো যারা ভাগ করে থাকছেন তারা হলো পৃথক পৃথক ওয়েবসাইট।

এতে আপনার ফায়দা হচ্ছে- আপনার ঘর ভাড়া ফ্যামিলি সবাই থাকার পরও কম খরচে থাকতে পারছেন। একই ভাবে শেয়ার হোস্টিংও অনেক গুলো ওয়েবসাইট রাখা হয় তাই এর খরচও কম। শেয়ার হোস্টিং অনেক টাকায় ক্রয় করা যায়। এটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ভালো একটি মাধ্যম।

২. ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং কি?

ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং গুলো শেয়ার হোস্টিং এর তুলনায় অনেক গুণ ভালো। সত্যি কথা হলো এই হোস্টিং আমরা তখনই ব্যবহার করি যখন আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকে। এক কথায় ওয়েবসাইট পপুলার হওয়ার পর এটি ব্যবহার করা ভালো। নতুন অবস্থায় এটি ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই।

উদাহরণ- মনে করুন আপনার একটি বিল্ডিং রয়েছে যার কয়েকটি কামরা আছে। প্রত্যেকটি কামরায় একজন করে ফ্যামিলি মেম্বার থাকবেন। ঠিক একই ভাবে একটি একটি পৃথক সার্ভারে থাকবে এতে আপনার ওয়েবসাইটের স্পীড ভালো থাকবে। ভিপিএস সার্ভার অনেক নিরাপদ থাকে। শেয়ার হোস্টিং এর চাইতে অনেক গুণ ভিজিটর্স জায়গা করতে পারে। এর মূল্যও বেশি প্রায় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০০০ টাকা হতে ১৫০০ টাকা মাস শেষে গুণতে হয়।

৩. ডেডিকেটেড হোস্টিং কি?

ডেডিকেটেড হোস্টিং অন্য হোস্টিং এর তুলনায় ভিন্নতা রয়েছে। এর কারণ শেয়ার হোস্টিং আপনি একসাথে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রাখবেন আর ভিপিএস সার্ভার একটি ভাগ দিতে হবে। আর ডেডিকেটেড হচ্ছে পুরো বিল্ডিং টাই আপনার নামে দেওয়া হলো অর্থাৎ পুরো বিল্ডিংটাই আপনি কিনে নিলেন।

এতে আর কারো ভাগ থাকলো না। যেমননি নিরাপত্তার দিকেও সেরা তেমনি ওয়েবসাইটের স্পীড। এতে আপনি প্রচুর পরিমাণের ট্রাফিক জেনারেট করতে পারবেন তবে দাম অনেক বেশি। এটি প্রায় প্রতিমাসে ৬০০০ টাকার মত পরিশোধ করতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি?

বর্তমান ওয়েবসাইটগুলোর ৪০ শতাংশের বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি। ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো একটি ওয়েবসাইটের এ্যাপারেন্স অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের যে আকার আকৃতি একজন ভিজিটর এর সামনে দৃশ্যমান হয় সেটাই হলো ওয়ার্ডপ্রেস থিম। ওয়ার্ডপ্রেস থিম এইচটিএমএল, স্টাইল শিট, পি এইচ পি, ইমেজ এরকম আরও কিছু টেম্পলেট এর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। উক্ত টেম্পলেটগুলোর সমন্বয়ে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টগুলো ভিজিটর এর সামনে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে ধরতে ওয়েবসাইট এর যে আকার আকৃতি/মডেল দেওয়া হয় সেটাই হলো থিম। আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠান এর জন্য নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন এবং ওয়েবসাইটটি তে কি থিম ব্যাবহার করবেন এই নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আমি আপনাকে ভরসা দিতে পারি কারণ এই আর্টিকেল এ থাকছে সঠিক দিক নির্দেশনা। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি ২ ধরনের থিম ইউজ করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম এবং পেইড থিম। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করার যায়। কোন থিম আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো, ফ্রি এবং পেইড থিমের পার্থক্য কি এবং কোন থিম ইউজ করলে বেশি বেনিফিট পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ফ্রি এবং প্রিমিয়াম এর ভেতর পার্থক্যঃ

  • ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম ইউজ করে তৈরি ওয়েবসাইট টি আপডেট করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আপডেটের সময় সাইট ভেঙ্গে যাওয়ার পসিবিলিটি ও রয়েছে।
  • কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম এ ওয়েবসাইট আপডেট করলে সাইট ভেঙে যায় না।
  • ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম এ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এটি সহজেই কাস্টমাইজ করা যায় এবং এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি। অপরদিকে ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম কাস্টমাইজ করতে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাগ থাকতে পারে।
  • প্রিমিয়াম থিমে রয়েছে রেস্পন্সিভ ডিজাইন লে-আউট অর্থাৎ প্রিমিয়াম থিম এ আপনি আপনার পছন্দসই ডিজাইন পেয়ে যাবেন। অপরদিকে ফ্রি থিমগুলো তে রয়েছে মিনিমাম ডিজাইন লে-আউট। যে ডিজাইনগুলো কমন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিমগুলো তে হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট থাকতে পারে। যেহেতু থিমগুলো ফ্রি সেহেতু এখানে হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট থাকার পসিবিলিটি অনেক বেশি। তাই ফ্রি থিম ইউজ করে আপনার ওয়েবসাইটটি কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবেন না। অপরদিকে, প্রিমিয়াম থিমগুলো ব্যবহারে এরকম কোন ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম গুলো প্লাগিন এর সাথে কনফ্লিক্ট করতে পারে। অপরদিকে ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম প্লাগিনগুলোর সাথে ভালো কাজ করে।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিমগুলো যেহেতু সবাই ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারে তাই ফ্রি থিম দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটটি ও অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোর মতোই দেখতে লাগে। কিন্তু আপনি যদি একটি ইউনিক লুকের ওয়েবসাইট চান আপনার কমার্শিয়াল সাইট এর জন্য তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম থিম ইউজ করতে হবে।
  • আপনি যদি ফ্রি থিম ইউজ করেন তাহলে ওয়েবসাইট নিয়ে ঝামেলায় পরলে কেও আপনাকে সাহায্য করার থাকবেনা। কিন্তু আপনি ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম ইউজ করে আপনার ওয়েবসাইট টি তৈরি করলে যদি কখনো ওয়েবসাইট নিয়ে ঝামেলায় পরেন তাহলে আপনাকে সবসময় ডেডিকেটেড সাপোর্ট দিবে একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডেভেলপার।

ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিমঃ

নিচে ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম এর সুবিধা, অসুবিধা তুলে ধরা হলো যাতে আপনি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পান।

সুবিধাঃ

  • ওয়ার্ডপ্রেস দুনিয়ায় হাজারো রকমের ফ্রি থিম রয়েছে। আপনি চাইলেই সেগুলো ডাউনলোড করে আপনার ওয়েবসাইট এ ইউজ করতে পারবেন একদম ফ্রি তে। তবে কথায় আছে সস্তার চার অবস্থা। তাই ভেবে চিন্তে থিম ইউজ করাই ভালো।

অসুবিধাঃ

  • ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিমে প্রয়োজনীয় অনেক ফিচারই থাকেনা। একটি প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট তৈরি করতে যে ধরনের ফিচারস এবং ফাংশনালিটির প্রয়োজন হয় তা ফ্রি থিমে অনেক সময় পাওয়া যায় না। ফলে প্রচুর থার্ড পার্টি প্লাগিনস, এবং সফটওয়্যার ইন্ট্রিগেশন করতে হয়।
  • থিমগুলো ফ্রি হওয়ায় একটা ওয়েবসাইট সেট-আপ করতে আপনি কোনো ওয়েব ডেভেলপার এর কাছ থেকে কোনো ধরনের ডেডিকেটেড সাপোর্ট পাবেন না। এর ফলে ওয়েবসাইট সেটিং করতে আপনার নানা ধরনের প্রব্লেম এ পড়তে হবে।
  • ফ্রি থিম গুলোর ডিজাইন অনেক লো কোয়ালিটির হয়ে থাকে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “আগে দর্শন ধারী পরে গুন বিচারী”। তাই একটা প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট এমন হওয়া উচিত যেটা দেখলেই একজন কাস্টমার এর মন আকৃষ্ট করবে। প্রথম দর্শন টাই ভালো হওয়া জরুরি যাতে করে একজন কাস্টমার এর মনে গুড ইম্প্রেশন তৈরি হবে। কিন্তু ফ্রি থিম গুলোতে ডিজাইন ভালো না হওয়ায় ওয়েবসাইট এর দর্শন টাও ভালো হয়না ফলে ওয়েবসাইট এর কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যায়।
  • ফ্রি থিম ব্যাবহার করে তৈরি ওয়েবসাইট গুলো আপডেট করার সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপডেট করলে সাইট ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ফ্রি থিম ব্যাবহারে বাগ থাকতে পারে। এমন কি হ্যাকিং স্ক্রিপ থাকার পসিবিলিটি ও রয়েছে।
  • অনেক সময় ফ্রি থিম ব্যাবহারে প্লাগিন এর সাথে কনফ্লিক্ট করতে পারে। এই সমস্যা টা হয় কারণ প্লাগিন অটো আপডেট হয়ে যায়। যার ফলে আপডেট ভার্সন, পুরাতন ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম প্লাগিন এর সাথে ম্যাচ হতে পারেনা।

ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিমঃ

ফ্রি থিম এর চাইতে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম শতগুণে ভালো। চলুন পড়ে আসা যাক সুবিধা ও অসুবিধা গুলো।

সুবিধাঃ

  • ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিমে প্রচুর পরিমাণে ফেচারস রয়েছে। একটি ওয়েবসাইটের জন্য যত ধরনের এ্যাডভান্স ফেচারস লাগে তার সবকিছুই রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম এ।
  • প্রিমিয়াম থিম গুলো মুলত প্রফেশনাল সফটওয়্যার ডিজাইনার দ্বারা ডিজাইন করা হয়। একটা প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট অবশ্যই প্রফেশনাল হওয়া উচিত। এতে করে প্রথমেই একজন কাস্টমার এর মনে প্রতিষ্ঠান টি সম্পর্কে ভালো ধারণা জন্মায়। এবং এর ফলে প্রতিষ্ঠান টির ব্র‍্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়।
  • প্রিমিয়াম থিমগুলো তে আগে থেকেই এক্সট্রা প্লাগিন বা সফটওয়্যার বা এক্সটেনশন যুক্ত করা থাকে যার ফলে আপনাকে আর এক্সট্রা টাকা খরচ করতে হবে না।
  • ওয়েবসাইট সেট আপ করার সময় কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে ওয়েবসাইট ডেভেলপার দের থেকে আপনি সাহায্য নিতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইট আপডেট করলে সাইট ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

অসুবিধাঃ

  • ফ্রি থিম ব্যাবহার করলে আপনার টাকা খরচ করতে হচ্ছে না কিন্তু প্রিমিয়াম থিম ব্যাবহারে টাকা খরচ করতে হবে। কথায় আছে “জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশিই”। তাই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং রেস্পন্সিব ডিজাইন লে-আউট ব্যাবহার করতে আপনাকে কিছু টাকা তো খরচ করতেই হবে। প্রিমিয়াম থিম এ এছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা নেই।
  • অনেক সময় সেল বাড়ানোর জন্য ডেভেলপার এক্সট্রা থিম ফিচারস যুক্ত করে দেয়। যেগুলো ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড স্লো করে দেয়। তাই আপনি কোন কোম্পানির থিম ব্যাবহার করছেন সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন







Theme Created By ThemesDealer.Com
x
x