ডোমেইন হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইটের নাম যেমন, www.google.com এটি একটি ওয়েব সাইট যা সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে দেখতে পারে। এখানে তিনটি W হচ্ছে যথাক্রমে world wide web আর google.com হচ্ছে সেই ওয়েব সাইটের মূল নাম। প্রথমত এই ওয়েব সাইটের একটি আইপি এড্রেস থাকে যা প্রত্যেক ওয়েব সাইটের থাকে আপনি চাইলে সেই আইপি আপনার ব্রউজারের এড্রেসবারে দিয়ে ওয়েব সাইটটি দেখতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি সব ওয়েব সাইটের আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারবেন কিন্তু ডোমেইন নেম থাকলে আপনি তা সহজেই মনে রাখতে পারবেন
প্রত্যেক মূল ডোমেইন নেমের দুটি অংশ থাকে। একটিতে নাম এবং আরেটিতে এক্সটেনশন যেমন, www.google.com এখানে google হচ্ছে ডোমেইন নেম এবং .com হলো এক্সটেনশন। এসব এক্সটেনশনগুলো ওয়েবসাইটের এবং প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সিলেক্ট করা হয়ে থাকে। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী ডোমেইনে এক্সটেনশনের উদাহরন দেওয়া .com এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডোমেইন এক্সটেনশন। সাধারনত এটি কমার্শিয়াল কোম্পানির ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হ.net এটি এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হয.org এটি অর্গানাইজেশন বা অলাভজনক সংগঠনের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হয়.info এটি তথ্যভিত্তিক বা ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটের জন্য ব্যবহার করা হয়.me এটি সাধারনত ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটর জন্য ব্যবাহার করা হয়।
TLD মানে Top Level Domain, উপরে যেসব ডোমেইনের উদাহরন দেখানো হয়েছে তা সবই Top Lavel Domain ।ccTLD হলো country code top level domain যা বিভিন্ন দেশের জন্য নির্দিষ্ট করা কিছু ডোমেইন থাকে যেমন, .com.bd/.in/.PK
১। সহজ নাম নির্বাচন করতে হবে যাতে সবাই সহজে মনে রাখতে পারে।
২। নাম সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে যাতে দেখতে এবং শুনতে সুন্দর লাগে আর মনে রাখতে ও সহজ হবে।
৩। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে নাম ঠিক করতে হবে যেমন, ইকমার্স ওয়েব সাইটের জন্য shop or store রিলেটেড নাম দিতে হব
৪। বড় কোন কোম্পানির নামের সাথে মিল রেখে নাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এতে আপনার ওয়েবসাইট র্যঙ্ক হবে ন
৫। আপনার পছন্দের ডোমেইনটি খালি আছে কিনা তা ডোমেইন কেনার ওয়েব সাইটে সার্চ দিয়ে দেখে নিন
১। যে কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনবেন তাদের সাথে ডোমেইনের প্রাইজ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলে নিন।
২। পরের বছরের রিনিউ চার্জের পরিমান জেনে নিবেন। অনেক প্রোভাইডার অফার দিয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রয় করে তবে রিনিউয়ের সময় সাধারন মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি চার্জ করে।
৩। ফুল কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে নিবেন EPP কোড সহ যাতে পরে কোন সমস্যা হলে আপনি ডোমেইন ট্রাস্ফার করো অন্য প্রোভাইডারে যেতে পারেন এবং রিনিউ করতে পারেনে।
প্রথম অবস্থায় ডোমেইনের কন্ট্রোল প্যানেল দেখলে আপানার মনে হতে পারে ডোমেইন ম্যানেজ করা অনেক কঠিন কিছু আসলে কিন্তু তা নয়। এটি অনেক সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। কন্ট্রোল প্যানেলে অনেক কিছুই দেওয়া থাকে তার মধ্যে আপনাকে যে মূল ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে তা আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
১। Contact Details : এই সেকশনে আপনি দেখতে পাবেন যে ডোমেইন টি কার নামে কেনা বা এটি রেজিস্টেশনে কোন ইমেইল ব্যবহার করা হয়েছে। যদি আপনাকে ফুল কোন্ট্রোল প্যনেল দেওয়া হয় আপনি চাইলে সব ডিটেইলস পরিবর্তন করতে পারবে
২। Privacy Protection: সম্ভব হলে এই প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবেল করে রাখবে। এটি করার জন্য আপনাকে বছরে ২-৪ ডলার পে করা লাগতে পারে। এটি করার উদ্দেশ্যে হলো অনেক সময় Whois থেকে ডোমেইনের মালিকের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার নিয়ে স্পামিং করা হয
৩। Name Server: ডোমেইন কেনার পর আপনার ডোমেনের কন্ট্রোল প্যানেলে আপনার হোস্টিং এর নেম সার্ভার বসিয়ে দিবেন যেটি আপনাকে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার দিয়েছে। নেম সার্ভার দেখতে অনেকটা নিচের মত হns1.w3techniques.com
ns2.w3techniaues.com
৪। Domain Secret: এটি হচ্ছে সবচেয়ে সেনসিটিভ একটা বিষয়। আপনার ডোমেইন প্যানেলে ডোমেন সিক্রেট অপশনে আপনি একটা কোড পাবেন যাকে EPP Code বলে। এই কোডের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন যেকোন সময় অন্য প্রোভাইডারে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। যেমন Name Cheap ট্রান্সফার করে W3 Techniques এ নিয়ে আসব
৫। Theft Protection: ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন এর পর পরই থেফ্ট প্রোটেকশন অন করে রাখা উচিত এতে করে আপনার ডোমেইনের EPP Code অন্য কারো কাছে থাকলেও সে আপনার ডোমেইন ট্রান্সফার করে নিতে পারবে না।
লেখার শুরুতে বলছি হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সার্ভিস যেটির মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ ইন্টারনেট জগতে চালু করা যায়। আমরা যখন কোন হোস্টিং প্রোভাইডার হতে হোস্টিং ক্রয় করি, তখন অনলাইনে ওয়েব সার্ভার এ আমার জন্য কিছু জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
আর এই ওয়েব সার্ভার এমন একটি কম্পিউটার যেটিতে সর্বদা নেট কানেকশন থাকে। এ সার্ভার ক্রয় করা জায়গাতে আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগ রাখি, তাছাড়া অডিও, ভিডিও, ফাইল ইমেজ লেখা পাবলিশ করি তখন সেগুলো এই সার্ভারে জমা হতে থাকে।
ওয়েব সার্ভার সর্বদা ইন্টারনেটের সঙ্গে কানেক্ট করা থাকে, যার ধরুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে access করতে পারি। তবে, এর জন্য আমাদের একটি ডোমেইন নাম ক্রয় করতে হয়। তারপর এই ডোমেইনটিকে আমাদের ক্রয়কৃত সার্ভারের সাথে কানেক্ট করতে হয়।
হোস্টিং বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যেগুলো বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
যে হোস্টিং এ অনেক গুলো ওয়েবসাইট রাখা হয়ে থাকে সেটিকে শেয়ার হোস্টিং বলা হয়। উদাহরণ- আপনার একটি ঘর আছে যাতে পরিবারের সকল সদস্য ভাগাভাগি করে থাকছেন।
এখানে আপনার ঘরটি হলো একটি ওয়েব সার্ভার এবং আপনি ও আপনার ফ্যামিলি হলো যারা ভাগ করে থাকছেন তারা হলো পৃথক পৃথক ওয়েবসাইট।
এতে আপনার ফায়দা হচ্ছে- আপনার ঘর ভাড়া ফ্যামিলি সবাই থাকার পরও কম খরচে থাকতে পারছেন। একই ভাবে শেয়ার হোস্টিংও অনেক গুলো ওয়েবসাইট রাখা হয় তাই এর খরচও কম। শেয়ার হোস্টিং অনেক টাকায় ক্রয় করা যায়। এটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ভালো একটি মাধ্যম।
ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং গুলো শেয়ার হোস্টিং এর তুলনায় অনেক গুণ ভালো। সত্যি কথা হলো এই হোস্টিং আমরা তখনই ব্যবহার করি যখন আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকে। এক কথায় ওয়েবসাইট পপুলার হওয়ার পর এটি ব্যবহার করা ভালো। নতুন অবস্থায় এটি ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই।
উদাহরণ- মনে করুন আপনার একটি বিল্ডিং রয়েছে যার কয়েকটি কামরা আছে। প্রত্যেকটি কামরায় একজন করে ফ্যামিলি মেম্বার থাকবেন। ঠিক একই ভাবে একটি একটি পৃথক সার্ভারে থাকবে এতে আপনার ওয়েবসাইটের স্পীড ভালো থাকবে। ভিপিএস সার্ভার অনেক নিরাপদ থাকে। শেয়ার হোস্টিং এর চাইতে অনেক গুণ ভিজিটর্স জায়গা করতে পারে। এর মূল্যও বেশি প্রায় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০০০ টাকা হতে ১৫০০ টাকা মাস শেষে গুণতে হয়।
ডেডিকেটেড হোস্টিং অন্য হোস্টিং এর তুলনায় ভিন্নতা রয়েছে। এর কারণ শেয়ার হোস্টিং আপনি একসাথে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রাখবেন আর ভিপিএস সার্ভার একটি ভাগ দিতে হবে। আর ডেডিকেটেড হচ্ছে পুরো বিল্ডিং টাই আপনার নামে দেওয়া হলো অর্থাৎ পুরো বিল্ডিংটাই আপনি কিনে নিলেন।
এতে আর কারো ভাগ থাকলো না। যেমননি নিরাপত্তার দিকেও সেরা তেমনি ওয়েবসাইটের স্পীড। এতে আপনি প্রচুর পরিমাণের ট্রাফিক জেনারেট করতে পারবেন তবে দাম অনেক বেশি। এটি প্রায় প্রতিমাসে ৬০০০ টাকার মত পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমান ওয়েবসাইটগুলোর ৪০ শতাংশের বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি। ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো একটি ওয়েবসাইটের এ্যাপারেন্স অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের যে আকার আকৃতি একজন ভিজিটর এর সামনে দৃশ্যমান হয় সেটাই হলো ওয়ার্ডপ্রেস থিম। ওয়ার্ডপ্রেস থিম এইচটিএমএল, স্টাইল শিট, পি এইচ পি, ইমেজ এরকম আরও কিছু টেম্পলেট এর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। উক্ত টেম্পলেটগুলোর সমন্বয়ে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টগুলো ভিজিটর এর সামনে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে ধরতে ওয়েবসাইট এর যে আকার আকৃতি/মডেল দেওয়া হয় সেটাই হলো থিম। আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠান এর জন্য নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন এবং ওয়েবসাইটটি তে কি থিম ব্যাবহার করবেন এই নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আমি আপনাকে ভরসা দিতে পারি কারণ এই আর্টিকেল এ থাকছে সঠিক দিক নির্দেশনা। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি ২ ধরনের থিম ইউজ করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম এবং পেইড থিম। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করার যায়। কোন থিম আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো, ফ্রি এবং পেইড থিমের পার্থক্য কি এবং কোন থিম ইউজ করলে বেশি বেনিফিট পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ফ্রি এবং প্রিমিয়াম এর ভেতর পার্থক্যঃ
নিচে ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি থিম এর সুবিধা, অসুবিধা তুলে ধরা হলো যাতে আপনি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পান।
সুবিধাঃ
ফ্রি থিম এর চাইতে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম শতগুণে ভালো। চলুন পড়ে আসা যাক সুবিধা ও অসুবিধা গুলো।