উত্তরাধিকার আইন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার উত্তরাধিকারীদের উপর বর্তানোর যাবতীয় বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনা করে। সুতরাং এ আইনের গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। উত্তরাধিকারের বিষয়গুলো একেবারেই পারিবারিক বলে পারিবারিক আইন অনুযায়ীই এগুলো পরিচালিত হয়। মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য প্রায় সব ধর্মাবলম্বীদের, এমনকি উপজাতীয়দেরও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধি-বিধান আছে।
মুসলমানদের উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো কোরআন ও হাদীসের আলোকে তৈরী। এ উত্তরাধিকার আইনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত হলেও মৃত ব্যক্তির মৃত ছেলের সন্তান-সন্তানাদির উত্তরাধিকার বিষয়ে আলোচনা করে, এমন একটি বিধান নিয়ে মুসলমান সমাজে প্রশ্ন ছিলো। কিন্তু এ বিষয়ে সংস্কার সাধনের চেষ্টা বা উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ষাটের দশকের গোড়ার দিকে এ সংক্রান্ত বিধানটির সংস্কার সাধন করা হয়েছে, যার বিস্তারিত আমরা জানতে পারবো পরবর্তী আলোচনাগুলোতে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উত্তরাধিকার বর্তানোর নিজস্ব নিয়ম ও মতবাদ রয়েছে। ভারতে হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ব্যাপক সংস্কার করা হলেও বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের বিধানগুলো এখনো মান্ধাতা আমলের। সনাতন যুগের এ আইন প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশে হিন্দু মেয়েদের অধিকার থেকে বঞ্চনার ইতিহাস তৈরী করছে। এ নিয়ে থাকবে তুলনামুলক আলোচনা।
খৃষ্টান, বৌদ্ধদেরও উত্তরাধিকার আইন ও তার প্রয়োগ সম্পর্কিত বিধি-বিধানের পাশাপাশি গুরুত্বসহ বিষয়ভূক্ত হয়েছে উপজাতীয় সমাজে প্রচলিত উত্তরাধিকারের নিয়মগুলো।
আরো একটি বিষয়, বর্তমানে ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা লক্ষনীয়। সুতরাং থাকছে ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে সম্পন্ন বিবাহিত দম্পত্তিদের সন্তানদের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইনের বিস্তারিত আলোচনা।
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ও আইনের উত্স:
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোন মুসলমান মারা গেলে তার ফেলে যাওয়া সম্পত্তি বা ত্যাজ্য সম্পত্তি কিভাবে কাদের মধ্যে বন্টন করা হবে সে সম্পকির্ত বিধানকে মুসলিম উত্তরাধিকার বা ফারায়েজ বলে।উত্তরাধিকার আইনের উত্স:
১. কোরআন২. হাদিস৩. ইজমা৪. কিয়াস৫. আরবীয় প্রথা৬. বিধিবদ্ধ আইন ৭. আদালতের সিদ্ধান্ত
১. কোরআন
উত্তরাধিকার আইনের প্রথম ও প্রধান উত্স আল-কোরআন।আল কোরআনের সূরা নেসায়ের সপ্তম,অষ্টম,একাদশ,দ্বাদশ এবং একশত ছিয়াত্তর আয়াতে প্রত্যক্ষভাবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে বলা আছে। যেমন- মুসলিম উত্তরাধিকার বা ফারায়েজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা নিসায় বলা আছে যে, ১২ জন সম্পত্তির অংশীদার। যাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী।পুরুষগন হলেন মুসলিম আইনে কোরআনের পবিত্র বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণ বা উত্তরাধিকারীগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে সুনিদির্ষ্ট অংশ লাভ করিতে বাধ্য থাকে।
২.হাদিস
এক কথায় হাদিস হলো হযরতের উক্তি, নিদের্শাবলী এবং তার জীবনের কার্যাবলীর মহাসংকলন।মুসলিম আইন বিজ্ঞানের বিধান মোতাবেক যে সকল বিষয় সমূহ হাদিসের ক্ষেত্রে অপরিহার্য তা নিম্নরূপ-ক. হযরত মুহম্মদ(সঃ) এর অভিমত,উক্তি,শিক্ষা,উপদেশ,অনুশাসন এবং বাণীর সংকলন বিষয়ক মন্তব্যখ. হযরতের দৈনন্দিন জীবন যাপন প্রণালী,কমর্তত্পরতা এবং হযরত কতৃর্ক সম্পাদিত কার্যাবলী বিষয়ক তত্পরতা,গ. হযরতের পছন্দনীয় কার্যাবলী এবং অপছন্দনীয় কার্যসমূহের বিবরণ মূলক বক্তব্য,ঘ. হযরত কতৃর্ক তার সাহাবীদের ক্ষেত্রে ইঙ্গিতবাহী সম্মতি বা নীরব সমথর্ন।যেমন- হযরত ফাতেমা(রাঃ) একবার দাবী করেন যে, তিনি তাঁর পিতার সম্পদের ওয়ারিছ। কিন্তু এর উত্তরে হযরত আবুবকর(রাঃ) রাসুলুল্লাহর পবিত্র বাণী” আমরা,নবীরা কোন সম্পদ ওয়ারিছদের জন্য রেখে যাই না; আমাদের যা থাকে, তা অবশ্যই খয়রাতের জন্য’। এই হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন করল না। হযরত ফাতেমার(রাঃ) দাবি অগ্রাহ্য করা হল।
৩. ইজমা
প্রকৃত অর্থে উলেমাগণের ঐক্যমত্যই হইল ইজমা এবং উহা অভ্রান্ত বলিয়া ধরিয়া নেওয়া হয়। কোরআন, হাদিস এবং সুন্নাহর মাধ্যমে যে আইন প্রনয়ণ কাজ চলে আসছিল তা হযরতের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায় অথচ নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হতে লাগল যার সমাধানের জন্য কোরআন, সুন্নাহ কিংবা হাদিসের মধ্যে কোন নিদের্শ পাওয়া যেত না। এমতাবস্থায় অন্য কোন উপায়ে ঐ সব সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন হয়ে পড়ত। এই উদ্দেশ্যে অাইনবিদগন আইনের যে নীতির উদ্ভব করেছিলেন উহাই ইজমা।যেমন- ধমীর্য় অনুশাসনের ব্যাপারে যেমন- রোজা, নামাজ,জনগণের সম্মিলিত মত দ্বারা বিধি প্রণয়ন, হযরত আবুবক্করকে খলিফা নিযুক্ত করা ইত্যাদি ঐক্যমত বা ইজমার দ্বারা হয়েছিল।
৪.কিয়াস
যখন কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কোরআন,সুন্নাহ বা ইজমার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া না যায় তখন কিয়াস অথার্ত্ “ফলপ্রসু যুক্তি”-র দ্বারা সমাধান করাকে কিয়াস বলা হয়।যেমন- ইসলামে মাদকতা সৃষ্টিকারী তীব্র পানীয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ না করা হলেও যেহেতু মদ মাদকতা সৃষ্টিকারী তীব্র পানীয়, সুতরাং সাদৃশ্যমূলকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। এটাই কিয়াস।
৫.আরবীয় প্রথা
মুসলিম আইনের পঞ্চম উত্স হল প্রাক ইসলামী প্রথা। কোরআন, হাদিস, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস ব্যতীত আইনবিদগণ যে উত্সটির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সেটা হল রীতি বা প্রথা। বহু পুরাতন আরব প্রথা কোরআনের আয়াত দ্বারা নাকচ করা হয়েছে। যা কোরআন কতৃর্ক নাকচ করা হয় নি এবং যা সুন্নাহ কতৃর্ক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গৃহীত হয়েছে, উহা মুসলিম আইনের বিধি হিসাবে বতর্মান রয়েছে।যেমন- প্রাক ইসলামী প্রথায় যিহার, ইলা, খুলা ইত্যাদি যে কোন প্রকার প্রথার মাধ্যমেই তালাক বা বিবাহ- বিচ্ছেদ হত, তালাকপ্রাপ্তাকে পুনরায় বিবাহ করার আগে কিছু কাল অপেক্ষা করতে হতো। এরূপে কোন নারীর পুনবির্বাহের পূর্বে এই অপেক্ষমান সময়কে ইদ্দত পালন বলে। ইসলামী আইনেও নিদির্ষ্ট মেয়াদে ইদ্দত পালন করতে হয়।
৬. বিধিবদ্ধ আইন
বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর শুধু মুসলিম ব্যক্তিগত আইনই প্রয়োগ করা হয়। উত্তরাধিকার,বিবাহ,বিবাহ-বিচ্ছেদ, উইল, হিবা এবং ওয়াকফ্ সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে মুসলিম আইন প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়াও মুসলিম ব্যক্তিগত আইন সম্পর্কে ও কতিপয় আইন বিধিবদ্ধ করা হয়েছে এবং ঐ প্রকারের আইনগুলোকে ৬ষ্ঠ উত্স বলে মুসলিম আইন বিকাশে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।বিধিবদ্ধ আইন হিসাবে আইন সভা দ্বারা পাশকৃত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনগুলো হল:১.শরীয়া আইন,১৯৩৭২.মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ১৯৩৭৩.মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ,১৯৬১( অধ্যাদেশ নং ৮)৪.মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদ রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৯৭৪
৭. আদালতের সিদ্ধান্ত
দেশের উচ্চ আদালতের কোন জটিল বিষয়ের সিদ্ধান্তও মুসলিম আইনের উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
হিন্দু আইন হিন্দুদের ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত আইন। এ আইন যারা জন্মসূত্রে হিন্দু, হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত, হিন্দু পিতা মাতার অবৈধ সন্তান এবং যে ক্ষেত্রে পিতা খ্রীষ্টান এবং মাতা হিন্দু সেই ক্ষেত্রে অবৈধ সন্তান যদি মায়ের কাছে হিন্দু আচার অনুযায়ী লালিত পালিত হয়, তবে এসব ক্ষেত্রে হিন্দু আইন প্রযোজ্য। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে হিন্দুদের মধ্যে দু’ধরনের উত্তরাধিকার পদ্ধতি চালু রয়েছে। যথা-দায়ভাগ পদ্ধতি এবং মিতাক্ষরা পদ্ধতি। দায়ভাগ পদ্ধতি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে প্রচলিত আছে। দায়ভাগ মতে পিন্ডদানের অধিকারী ব্যক্তি মাত্রই মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী। যারা পিন্ড দিতে পারে তারাই মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তির ওয়ারিশ বলা হয় । ভারতের অন্যান্য প্রদেশ এবং পাকিস্তানে মিতাক্ষরা পদ্ধতি প্রযোজ্য হয়ে থাকে ।
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনঅধিকারসমুহউত্তরাধিকারীদের ধারাবাহিকতালঙ্ঘন ও প্রতিকার
দানউইল
উত্তরাধিকার আইনে অধিকারভোগীদের তালিকা দায়ভাগ স্কুলকে বেঙ্গল স্কুল বলা হয়। দায়ভাগ আইনে একজন হিন্দু তার প্রাপ্ত পৈত্রিক সম্পত্তিতে এবং স্বীয় পরিশ্রমে অর্জিত স্ব-উপার্জিত ভিন্ন সম্পত্তিতে পূর্ণ স্বত্বাধিকারী অর্থাত্ তার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
জীবিত অবস্থায় সে তার সর্বপ্রকার সম্পত্তি যে কোন প্রকারে হস্তান্তর করতে পারে। তার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীরা তার ত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার সূত্রে উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে। দায়ভাগ আইনে উত্তরাধিকার নির্ণয় করতে যে নীতি অনুসরণ করা হয় তা মৃত ব্যক্তির আত্নার কল্যাণে আধ্যাত্নিক নীতি অর্থাত্ মৃত ব্যক্তির আত্নার কল্যাণের উদ্দেশ্যে তার পাবণা শ্রাদ্ধে পিন্ডদানের নীতি। শাস্ত্র অনুসারে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধে যে ব্যক্তি পিন্ডদানের (অর্থাত্ পূজো করতে সক্ষম) অধিকারী সে সপিন্ড। সপিন্ডই মৃত ব্যক্তির ত্যক্ত সম্পত্তির অধিকারী।
আধ্যাত্নিক সুবিধা অর্পণের যোগ্যতার উপরেই দায়ভাগ মতবাদের উত্তরাধিকার নীতি প্রতিষ্ঠিত।
”পাবণ শ্রাদ্ধ” অনুষ্ঠান হল আধ্যাত্নিক সুবিধানীতির ভিত্তি। এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান পালনকারী তার মৃত পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তিন ধরনের অঞ্জলি দিয়ে থাকে; যথা (১) পিন্ড বা একটি সম্পূর্ণ কেক যাকে বলে অবিভক্ত অঞ্জলি এবং (২) পিন্ড লেপা বা পিন্ডের টুকরা টুকরা অংশ যা পিন্ড তৈরীর সময় হাতে লেপে থাকে তাকে বলে বিভক্তি অঞ্জলি এবং (৩) মৃত পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে জল অঞ্জলি
অতি প্রাচীনকালে আতপ চাউল, দুধ, কলা, মিষ্টি ইত্যাদি একত্রে মেখে আমন্ত্রিত আত্মাদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হত এবং একেই বলে পিন্ড দান। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন মৃত ব্যক্তিসহ উর্দ্ধতন তিন পুরুষদের আত্নাগন এই পিন্ড গ্রহণ করেন এবং তৃপ্ত হন। দায়ভাগ আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির তিন শ্রেণীর উত্তরাধিকারী, যথা- (১) সপিন্ড, (২) সাকুল্য ও (৩) সমানোদক ।
১) সপিন্ড:
যে সব ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির আত্নার কল্যাণের উদ্দেশ্যে তার শ্রাদ্ধে পিন্ডদান করে এবং মৃত ব্যক্তির জীবিতকালে যে সকল ব্যক্তির আত্নার কল্যাণের উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করতে বাধ্য, তারা সবাই পরস্পরের সপিন্ড।
২) সাকুল্য:
যে সব আত্নীয় মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্বের সময় পিন্ডে পিন্ডলেপ প্রদান করে তারা মৃত ব্যক্তির সাকুল্য।
৩) সমানোদক:
যে সকল আত্নীয় মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্বে পিন্ডে পিন্ডজল প্রদান করে তারা মৃত ব্যক্তির সমানোদক ৷সংক্ষেপে যে ব্যক্তি পিন্ডদান করে, যে ব্যক্তি পিন্ড গ্রহণ করে এবং যে ব্যক্তি পিন্ডদানে অংশগ্রহণ করে, তারা সকলেই পরস্পরের সপিন্ড। সপিন্ডরা সবাই মৃত ব্যক্তির সগোত্র নয়, তারা ভিন্ন গোত্র আত্নীয় হতে পারে। যেমন কন্যার পুত্র। সপিন্ড সাকুল্যের আগে এবং সাকুল্য সমানোদকের আগে মৃত ব্যক্তির ত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল – (১) স্বামী, (২) পিতা , (৩) দাদা , (৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ – (১) স্ত্রী , (২) কন্যা , (৩) পুত্রের কন্যা , (৪) মাতা, (৫) দাদি এবং নানি , (৬) সহোদর বোন, (৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), (৮) সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
(৮) পুত্রের কন্যা পাবে ১/২ অংশ পাবে যখন একজন মাত্র পুত্রের কন্যা থাকে। যদি কোন পুত্র, পুত্রের পুত্র বা একের অধিক কন্যা এবং পুত্রের কন্যা না থাকে।
(৯) পুত্রের কন্যা ২/৩ ভাগ পাবে যখন দুই বা ততধিক পুত্রের কন্যা থাকে এবং পুত্র ও পুত্রের পুত্র এবং এবং একের অধিক কন্যা না থাকে।
(১০) পুত্রের কন্যা অবশিষ্ট ভোগী হিসেবে পাবেন। পুত্রের পুত্র না থাকলে সমান অংশ কা আইন অনুযায়ী।
(১১) পিতা ১/৬ অংশ পাবে পুত্র বা পুত্রের পুত্র থাকে।
(১২) পিতা ১/৬ অবশিষ্ট অংশ ভোগী হিসেবে পাবে যখন এক বা একরে অধিক কন্যা, পুত্রের কন্যা এবং পুত্রের পুত্র না থাকে।
(১৩) পিতা অবশিষ্ট অংশ ভোগী হিসেবে পাবে যখন পুত্র বা পুত্রের পুত্র থাকে।
(১৪) মাতা ১/৬ অংশ পাবে যখন পুত্র ও পুত্রের পুত্র এবং দুই বা ততধিক ভাই বোন এবং পিতা থাকে।
(১৫) মাতা ১/৩ অংশ পাবে যখন পুত্র অথবা পুত্রের পুত্র এবং একের অধিক ভাই বোন না থাকে।
(১৬) মা ১/৩ অংশ পাবে যখন স্ত্রী, স্বামী এবং বাবা থাকে। s
(১৭) দাদা ১/৬ অংশ পাবে যখন সন্তান এবং পুত্রের সন্তান থাকে এবং পিতা বা নিকটতম পিতামহ না থাকে।
(১৮) দাদা অবশিষ্ট অংশ ভোগী হিসেবে পাবে ১/৬ অংশ পাবেন যখন কন্যা অথবা পুত্রের কন্যা থাকে।
(১৯) দাদা অবশিষ্ট অংশ ভোগী হিসেবে পাবে যদি দূরবর্তী কোন অংশিদার বা অকশিষ্ট অংশ ভোগী না থাকে।
(২০) দাদী ১/৬ অংশ পাবেন যদি কোন মাতা বা মায়ের দিকে দাদী না থাকে।
(২১) পূর্ণ বোন ১/২ অংশ পাবেন যখন একজন মাত্র বোন থাকে এবং যদি কোন সন্তান, পুত্রের সন্তান, পিতা অথবা ভাই না থাকে।
(২২) পূর্ণ বোন ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক বোন থাকে এবং সন্তান, পুত্রের সন্তান, পিতা ও ভাই না থাকে।
(২৩) বোন অবশিষ্ট ভোগী হিসেবে পাবে যখন পূর্ণ ভাই থাকে বা এক বা একাধিক পুত্রের কন্যা থাকে এবং বোনকে বঞ্চিত করার মত কোন অংশিদার না থাকে এবং এক বা একাধীক কন্যাদের সহিত অবশিষ্ট ভোগী থাকে তারা কন্যাদের অংশ নেওয়ার পর অবশিষ্ট ভোগী হবে।
(২৪) বৈমাত্রীক বোন পাবে ১/২ অংশ যখন একজন মাত্র বোন থাকে এবং সন্তান, সন্তানের সন্তান এবং পিতা ও পূর্ণ ভাই বোন না থাকে।
(২৫) বোন পাবে ২/৩ অংশ যখন দুই বা ততধিক বৈমাত্রীক বোন থাকে এবং সন্তান, সন্তানের সন্তান এবং পিতা ও পূর্ণ ভাই বোন না থাকে।
(২৬) বৈমাত্রীয় বোন পাবে ১/৬ ভাগ যখন একজন পূর্ণ বোন থাকে (বোন পাবে ১/২ এবং বৈমাত্রী বোন পাবে ২/৩, ১/২, ১/৬)।
(২৭) বৈমাত্রীয় বোন অবশিষ্ট অংশ ভোগী হিসেবে পাবে যখন কোন বৈমাত্রীয় ভাই, এক বা একাধিক কন্যা এবং পুত্রের কন্যা এবং বঞ্চিত করার মত কোন অংশিদার না থাকে।
(২৮) বৈমাত্রীয় ভাই ১/৬ অংশ পাবে যখন সুধু মাত্র একজন বৈমাত্রীয় ভাই থাকে এবং সন্তান, পুত্রের সন্তান ও পিতা না থাকে।
(২৯) বৈপিত্রীয় ভাই ১/৩ অংশ পাবে যখন সেখানে দুই বা ততধিক বৈপিত্রীয় ভাই থাকে এবং সন্তান, সন্তানের সন্তান এবং পিতা না থাকে।
(৩০) বৈপিত্রীয় বোন ১/৬ অংশ পাবে সেখানে একমাত্র বৈপিত্রীয় বোন থাকে এবং সন্তান, সন্তানের সন্তান এবং পিতা না থাকে।
(৩১) বৈপিত্রীয় বোন ১/৩ অংশ পাবে যখন সেখানে দুই বা ততধিক বৈপিত্রীয় বোন থাকে এবং সন্তান, সন্তানের সন্তান এবং পিতা না থাকে।
আসাবা বা অবশিষ্টভোগীঃ
(১)। আসবা গণের চারটি শ্রেণী আছেঃ
শ্রেণী (১): (১)) পুত্র , (২))কন্যা , (৩))পুত্রের পুত্র, (৪)) পুত্রের কন্যা
শ্রেণী (২): (১))পিতা , (২))দাদা
শ্রেণী (৩): (১))সহোদর ভাই, (২)) সহোদর বোন, (৩))সৎ ভাই (বৈমাত্রেয়), (৪))সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), (৫))সহোদর ভাইয়ের পুত্র, (৬))সৎ ভাই(বৈমাত্রেয়)-এর পুত্র, (৭))সহোদর ভাইয়ের পুত্রের পুত্র , (৮)) সৎ ভাই(বৈমাত্রেয়)-এর পুত্রের পুত্র ।
শ্রেণী (৪): (১))চাচা, (২))চাচা (বৈমাত্রেয়), (৩))চাচাতো ভাই, (৪))চাচাতো ভাই (বৈমাত্রেয়), (৫))চাচাতো ভাইয়ের পুত্র, (৬))চাচাতো ভাই (বৈমাত্রেয়) এর পুত্র , (৭))চাচাতো ভাইয়ের পুত্রের পুত্র, (৮))চাচাতো ভাই (বৈমাত্রেয়)এর পুত্রের পুত্র
(২)। শুধুমাত্র পুরুষ অথবা মহিলা আসাবা হিসাবে থাকলে, অবশিষ্টাংশের সম্পুর্ণ অংশ পুরুষ অথবা মহিলা পাবেন, কিন্তু একই শ্রেণীর পুরুষ ও মহিলা একত্রে আসাবা হিসাবে থাকলে, পুরুষ ও মহিলাগণ ২:১ অনুপাতে অবশিষ্টভোগী হবেন।
সম্পত্তি বণ্টন প্রক্রিয়াঃ
ধাপঃ (১) – প্রথমে সম্পত্তি জবিউল ফুরুজ দের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে।
ধাপঃ (২) – জবিউল ফুরুজ দের অংশ সমূহ যোগ এর পরে সম্পূর্ণ অংশটি ১ এর চেয়ে বেশী হলে, সকল অংশ আনুপাতিক হারে কমে আসবে যাতে সম্পূর্ণ অংশটি ১ হয়।
ধাপঃ (৩) – যদি কোন আসাবা না থাকেন এবং সম্পূর্ণ অংশ ১ এর চেয়ে কম হলে স্বামী স্ত্রী এর অংশ ছাড়া জবিউল ফুরুজ অংশ সমূহ আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে যাতে মোট অংশটি ১ হয়। স্বামী/স্ত্রী এর অংশ কঠিনভাবে সুনির্দিষ্ট করা।
ধাপঃ (৪) – আসাবা থাকলে অবশিষ্ট অংশ আসাবাগন পাবেন নিম্নের ক্রম অনুযায়ী পাবেনঃ
ধাপঃ (১) >ধাপঃ (২)>ধাপঃ (৩)>ধাপঃ (৪)
(শ্রেণী ১ থাকলে পরের শ্রেণীর আসাবাগন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন ,শ্রেণী ২ থাকলে পরের শ্রেণীর আসাবাগন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন; এভাবে চলতে থাকবে)
(১) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে ভাই, বোন এবং কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= ভাই + বোন + কন্যা = ১/৩ + ১/৬+ ১/২
(২) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে পুত্র, কন্যা এবং বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= পুত্র + কন্যা+বোন = ২/৩ + ১/৩ + ০
(৩) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে পিতা, দাদা, মাতা, দাদি, কন্যা ও পুত্রের রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= পিতা+ দাদা+ মাতা+দাদি+কন্যা+পুত্রের কন্যা = ১/৩+০+১/৬ + ০+ ১/২ + ১/৬
(৪) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা, ভাই, বোন ও কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ=মাতা+ ভাই+বোন+কন্যা = ১/৬+ ২/৯ + ১/৯+১/২
(৫) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা, দাদি, নানি ও চাচা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা+ দাদী+নানী+চাচা = ১/৩+ ০+০+২/৩
(৬) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে কন্যা, মাতা ও বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= কন্যা+ মাতা+ বোন = ১/২+ ১/৬+১/৩
(৭) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা, পিতা ও স্ত্রী রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা + পিতা + স্ত্রী = ১/৪+ ১/২+১/৪
((৮) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্ত্রী + পুত্র + কন্যা = ১/৮+ ৭/১২+৭/২৪
(৯) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্ত্রী, ভাই ও বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্ত্রী + ভাই + বোন = ১/৪+ ১/২+১/৪
(১০) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা ও পুত্র রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা + পুত্র = ১/৬+ ৫/৬
(১১) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা ও কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা + কন্যা = ১/৪+ ৩/৪
(১২) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা, কন্যা ও বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা+ কন্যা + বোন = ১/৬+ ১/২+১/৩
(১৩) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্ত্রী, ১ সহোদর বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও ২ বৈপিত্রেয় বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্ত্রী + ১ সহোদর বোন + বৈমাত্রেয় বোন + ২ বৈপিত্রেয় বোন= ১/৪+ ১/২+১/৬ + ১/৩ (প্রাথমিকভাবে) = ৩/১৫+ ৬/১৫+২/১৫ + ৪/১৫ (বন্টিত সম্পতি মোট সম্পত্তি হতে বেশী বিধায় আনুপাতিক হারে হ্রাস করে) (আঊলনীতি)
(১৪) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে পিতা, মাতা, স্বামী, ২ কন্যা ও পুত্রের কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= পিতা + মাতা + স্বামী + ২ কন্যা + পুত্রের কন্যা = ১/৬+ ১/৬+১/৪ + ২/৩+০ (প্রাথমিকভাবে) = ২/১৫+ ২/১৫+৩/১৫ + ৮/১৫+০ (আউলনীতি)
(১৫) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে পিতার পিতা, পিতা, স্বামী, ২ কন্যা, পুত্রের কন্যা ও সহোদর বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= পিতার পিতা + পিতা + স্বামী + ২ কন্যা + পুত্রের কন্যা + সহোদর বোন = ০+ ১/৬+ ১/৪+ ২/৩+০+০ = ০+ ২/১৩+ ৩/১৩+ ৮/১৩+০+০ (আউলনীতি)
(১৬) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে কন্যা, ভাই, মাতা ও বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= কন্যা + ভাই + মাতা + বোন = ১/২+ ২/৯+ ১/৬+১/৯
(১৭) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে কন্যা, স্ত্রী, ভাই ও বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= কন্যা + স্ত্রী + ভাই + বোন = ১/২+ ১/৮+ ১/৪+১/৮
(১৮) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে পিতা, মাতা, স্ত্রী ও ভাই রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= পিতা + মাতা + স্ত্রী + ভাই = ১/২+ ১/৪+ ১/৪+০
(১৯) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্বামী, কন্যা, পিতা ও মাতা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্বামী + কন্যা + পিতা + মাতা = ১/৪+ ১/২+ ১/৬+১/৬ (প্রাথমিকভাবে) = ১/১৩+ ৬/১৩+২/১৩ + ২/১৩ (আঊলনীতি অনুসারে)
(২০) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্ত্রী, ২ কন্যা, পিতা ও মাতা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্ত্রী + ২ কন্যা + পিতা + মাতা = ১/৮+ ২/৩+ ১/৬+১/৬ (প্রাথমিকভাবে) = ৩/২৭+ ১৬/২৭+৪/২৭ + ৪/২৭ (আঊলনীতি অনুসারে)
(২১) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্বামী, মাতা, ২ সহোদর বোন ও ২ বৈপিত্রেয় বোন রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্বামী + মাতা + ২ সহোদর বোন + ২ বৈপিত্রেয় বোন = ১/২+ ১/৬+ ২/৩+১/৩ (প্রাথমিকভাবে) = ৩/১০+ ১/১০+৪/১০ + ২/১০ (আঊলনীতি অনুসারে)
(২২) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে মাতা, কন্যা ও স্ত্রী রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= মাতা + কন্যা + স্ত্রী = ১/৬+ ১/২+ ১/৮ (প্রাথমিকভাবে) = ৭/৩২+ ২১/৩২+১/৮ (রাদ্দনীতি অনুসারে)
(২৩) একজন ব্যাক্তি ওয়ারিশ হিসাবে স্বামী ও ৩ কন্যা রেখে গেছেন। উক্ত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন কী রূপ?
উত্তরঃ ওয়ারিশ= স্বামী + ৩ কন্যা = ১/৪+ ২/৩ (প্রাথমিকভাবে) = ১/৪+ ৩/৪ (রাদ্দনীতি অনুসারে)
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন