অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নিঃ- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর ২ (৪) ধারা অনুসারে, “অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি” অর্থ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের বা ঋণ গ্রহণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তির বন্ধক প্রদানের জন্য প্রদত্ত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অথবা স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে পণ মূল্য গ্রহণের বিনিময়ে ভূমি উন্নয়নসহ উক্ত দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা প্রদান সম্পর্কিত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।
বিঃদ্রঃ
(১) অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮ এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন-২০১২, এর ৬ নং ধারা অনুসারে)।
(২) ২ ও ৩ নং অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ বিবরণের পার্শ্বে যথাক্রমে পাওয়ারদাতা ও পাওয়ারগ্রহীতার পাসপোর্ট আকারের সাদা পটভূমিতে সম্প্রতি তোলা রঙিন ছবি সংযুক্তক্রমে উহাতে আড়াআড়ি ভাবে তাহাদের স্ব স্ব স্বাক্ষর ও টিপ প্রদান করিতে হইবে, তবে যদি কেহ নাম স্বাক্ষর করিতে অক্ষম হন, তাহা হইলে তাহার পরিচিত কোন ব্যক্তি দ্বারা তাহার নাম বকলমে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) স্থাবর সম্পত্তির বর্ণনা সম্বলিত সাধারণ ও অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পাওয়ারদাতা কর্তৃক বা তাহার পক্ষে হলফনামা প্রদান করিতে হইবে।
(৪) দলিলের প্রকৃতি অনুসারে যে সকল অনুচ্ছেদ প্রয়োজন হইবে না উহার/উহাদের পার্শ্বে “প্রযোজ্য নয়” উল্লেখ করিতে হইবে।
(৫) ‘পরিচিতি’ অর্থ রেজিস্ট্রেশন আইনের section 2 এর sub-section (1) এর সংজ্ঞা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতি।
(৬) পণমূল্যঃ কোন ভূমি উন্নয়নের নিমিত্ত অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার গ্রহিতা যে অংশ বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষমতা প্রাপ্ত হন উহার বাজার মূল্য এবং পাওয়ার দাতা কর্তৃক গৃহীত কোন অর্থ, যদি থাকে, যাহা দলিলের মূল্য হিসেবে গণ্য হয়।
(৭) রেজিস্ট্রেশন আইনের ৫২এ ধারা নিম্নরূপঃ
[কোন স্হাবর সম্পত্তির বিক্রয় দলিল দাখিল করা হলে, যে পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত বিবরনাদি দলিলে অন্তর্ভূত এবং দলিলের সহিত সংযুক্ত না করা হয়, সেই পর্যন্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলটি নিবন্ধন করবেন না, যথা-
(ক) বিক্রেতা যদি উত্তরাধিকারপ্রাপ্তি ব্যতিত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হইয়া থাকেন, তাহলে “রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন,১৯৫০” এর অধীন তার নামে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান;
(খ) বিক্রেতা যদি উত্তরাধিকার প্রাপ্তিতে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর অধিন তার নামে অথবা তার পূর্বসূরির নামে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান;
(গ) সম্পত্তির প্রকৃতি ;
(ঘ) সম্পত্তির মূল্য;
(ঙ) সীমানা ও চৌহদ্দিসহ সম্পত্তির একটি নকশা;
(চ) সম্পত্তির মালিকানার গত ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা; এবং
(ছ) এই দলিল সম্পাদনের পূর্বে সম্পাদনকারী সম্পত্তিটি কোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করেন নাই এবং উহাতে তাহার বৈধ স্বত্ব বহাল আছে মর্মে দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করিয়া একটি হলফনামা।]
৮। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পনে সীমাবদ্ধতাঃ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, এই বিধিমালার অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে না, যথা-
(১) উইল সম্পাদন, বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত উইল রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;
(২) দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন; বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;
(৩) দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পাদন;
(৪) ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন; এবং
(৫) সরকার কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ঘোষিত অন্য প্রকার দলিল বা কার্য সম্পাদন।
১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা।
২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ১০০০ টাকা।
৩। ই ফিঃ ১০০ টাকা।
৪) এন ফিঃ
(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।
(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
৫) এনএন ফি (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক)
(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
৬) ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রিন্ট করে দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ফিস পরিশোধ পদ্ধতিঃ
দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবতীয় ফিসাদি নগদে অফিসে জমা প্রদান করতে হবে।
নতুন নতুন তথ্য ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন