অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের চলমান উদ্যোগসমুহের আওতায় একজন ব্যক্তি ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে দাখিলা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে নিচের লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর আপনার জমির তথ্য দিন। আপনার দাখিলকৃত তথ্য ভূমি অফিস থেকে যাচাই বাছাই করা হবে। আপনার দেয়া সব তথ্য ঠিক থাকলে আপনাকে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে। ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের পর নিজে নিজে দাখিলা (ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ) ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন।
তিন প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে:
১. অনলাইন পোর্টাল land.gov.bd অথবা www.ldtax.gov.bd -এ প্রবেশ করে এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার মাধ্যমে।
২. কল সেন্টার নম্বর ৩৩৩ বা ১৬১২২-তে ফোন করে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও জমির তথ্য প্রদান করে। এবং
৩. এনআইডি ব্যবহার করে যে কোনও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, নিবন্ধনবিহীন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা প্রদানের জন্য গেলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রথমেই তার সকল ডাটা এন্ট্রি করবেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে হোল্ডিং মালিকদের তথ্য এন্ট্রি করবেন।
নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসেই এলডি ট্যাক্স সিস্টেমে অন্যান্য ডাটা অনলাইনে এন্ট্রি করবেন।
প্রজ্ঞাপনে রেজিস্ট্রেশনসহ অনলাইনে ভূমিকর প্রদানের যাবতীয় কার্যক্রমের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের জন্য এখানে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
যা বললেন ভূমি সচিব:
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই পদ্ধতি চালুর ফলে মানুষকে আর তহশিল অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। তহশিল অফিসের সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করা গেলে দুর্নীতি অর্ধেকই কমে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এছাড়া এই প্রক্রিয়ায় আমাদের শতভাগ ভূমি কর আদায় হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার অর্থ তসরুপ বা রাজস্ব আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার যে প্রবণতা রয়েছে, সেটা বন্ধ হবে।’
ভূমি সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজনের খাজনা অন্য জনে দিয়ে পরে টেম্বারিং করে, সেই জমি তার দাবি করার তথ্য অনেক সময় আমাদের কাছে আসে। অনলাইনে খাজনা আদায় করা গেলে এই বিষয়টিও বন্ধ হবে।’
একযোগে সারা দেশে অনলাইনে খাজনা আদায় শুরু হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। যার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তিনি খাজনা দিতে পারবেন।’
মোবাইল ফোন এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৮ অক্টোবর অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ভূমি মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের জুলাই থেকে সারা দেশে ভূমি কর দেওয়ার এই সুবিধা নিশ্চিত করার কথা ওই সময় জানানো হয়েছিল।
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন