যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন হয়ে থাকুন তাহলে আশা করবো এই পুরো পোস্টটি পড়বেন একটু সময় নিয়ে। কারন এখানে ফ্রিল্যান্সিং’র সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে? কীভাবে কি কাজ করবেন? কোথা থেকে শিখবেন? কীভাবে টাকা উঠাবেন সবই জানতে পারবেন এখানে।
তো চলুন শুরু করি।
শুরুতেই বলে নেই ” আমি কোন বইয়ের ভাষায় বুঝাবো না, আমি আমার মত করে সব চেয়ে সহজে বুঝানোর চেষ্টা করবো, ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।” আর না হয় ইগ্নোর করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
সহজ কথায় ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা। তার মানে মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারবেন, যেমন বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন, গাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন, ছাদে বসে কাজ করতে পারবেন, কোন নিয়ম বা রুলস নাই, আপনি রাত ২ টার সময় ও কাজ করতে পারবেন, আবার সকাল ৯ টার সময়ও কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শুরু করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অব্যশই আপনাকে কিছু শিখতে হবে। এবং ঐ জিনিস শিখেই আপনাকে ঐ জিনিস নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে। এখন প্রশ্ন হবে কি শিখবেন?
কি শিখবেন সেটা সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে, কারণ আপনি আপনার মনকে প্রশ্ন করুন ” কোন জিনিস আপনি বেশি জানেন বা পারবেন? মন যেটা উত্তর দিবে সেটাই শিখা শুরু করে দিন” কারণ যে কোন টপিক নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়। আপনি যদি ভালো গান গাইতে জানেন সেটা দিয়ে ও কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন, আপনি যদি ভালো ফটো তুলতে পারেন সেটা বিক্রি করে ও ইনকাম করতে পারবেন, আবার যদি আপনি ভালো ইংলিশ জানেন তাহলে ইংলিশ লিখেও শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে অবশ্যই ভালো স্কিল তৈরি করে নিতে হবে, এখন আবার প্রশ্ন হবে কি নিয়ে স্কিল তৈরি করবেন? তো চলুন দেখাই কি কি জিনিস নিয়ে আপনি আসলেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন বা শিখবেন।
বর্তমানে সব চেয়ে জনপ্রিয় কিছু ক্যাটাগরি হচ্ছে
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলেপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- লেখালিখি এবং ট্রান্সলেটিং
- প্রোগ্রামিং
- ভিডিও এডিটিং এবং মোশন গ্রাফিক্স
উপরে যেই ক্যাটাগরির নাম বললাম এই ক্যটাগরির মধ্যে রয়েছে আরো অনেক অনেক সাব ক্যাটাগরি। চলুন একটু গভীরে আলোচনা করি।
উপরের ছবিটা লক্ষ্য করুন, এখানে একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের দৃশ্য। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের সাথে আরো কত ক্যাটাগরি আছে দেখছেন? আপনি যে কোন ক্যাটাগরির কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
এখন সবার প্রশ্ন হবে কি শিখবো? কোনটা ভালো হবে?
দেখুন এখানে যত বিভাগ দেখালাম সব গুলাতেই কিন্তু কাজ আছে, যে যেখানে পছন্দ সে সেখানে কাজ করে, আমার হয়তো মার্কেটিং পছন্দ , আরেকজনের গ্রাফিক্স ডিজাইন। সুতরাং কারো সাথে কারো পছন্দ মিলবে না।
কি শিখবেন সেটা সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি আবার আপনার মনকে প্রশ্ন করুন। মন যেটা বলবে সেটা শিখা শুরু করুন।
ধরে নিলাম আপনি কি শিখবেন ঠিক করে ফেলেছেন।
এখন ডিজিটাল দুনিয়া, আপনি চাইলে ঘরে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারেন, সুতরাং শিখার জন্য গুগল আর ইউটিউব ব্যবহার করুন। আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করতে পারেন ‘ how to learn graphic design ” আপনি কিন্তু এই কিওয়ার্ডটি সার্চ করার পর হাজার হাজার রিসোর্চ পেয়ে যাবেন। যদি আপনি গুগল থেকে শিখতে না পারেন তাহলে আপনাদের জন্য আমাদের সফল ফ্রিলান্সারে কিছু টপ টপিকের উপর গাইডলাইন আছে। দেখে আসতে পারেন।www.youtube.com/NasirTechBD
অথবা আমার ফেইসবুক পেইজে গিয়ে মেসেজ করতে পারেন আপনার যে সম্পকে যানা দরকার
আপনার শিখা শেষ হয়ে গেছে, এখন প্রশ্ন হবে কোথায় কাজ করবেন?
দেখুন ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক জনপ্রিয় মার্কেট আছে, একেকটি মার্কেটের সিস্টেম একেক রকম।
অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আউটসোর্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের প্রধান দুশ্চিন্তা থাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পর পাওয়া অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে। একেবারে নতুন ফ্রিল্যান্সার যাঁরা তাদের জন্য বিষয়টি ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন
অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে অর্জিত অর্থ আপনি অনেক উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন। আপনি যদি কোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন, সেখান থেকেই বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। সেগুলোর মধ্যে সরাসরি আমাদের স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট এবং ওয়্যার ট্রান্সফার ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে মার্কেটপ্লেসে তা ঠিক করে দিতে হবে। তবে, আপনার উত্তোলনের পরিমাণ যদি ২ হাজার ডলারের বেশি হয়, তাহলে ওয়্যার ট্রান্সফার হবে সবচেয়ে ভালো অপশন।
যদি আপনি মার্কেটপ্লেসের বাইরে সরাসরি কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট অথবা স্থানীয় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আপনি সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা আনতে পারবেন। তা করতে হলে ক্লায়েন্টের কাছে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে। এ ছাড়া অবশ্য আরও অনেক বিকল্প আছে। তবে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
যদিও বর্তমানে জাস্ট গুগলে অথবা ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান লিখে সার্চ দিলেই শত রেজল্ট আপনার ডিসপ্লেতে শো করবে, তবে এখানে উল্লেখিত নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান আপনার জন্য বেস্ট হবে, এটা নিয়ে নিশ্চয় আপনি চিন্তিত । বাংলা ভাষায় যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কোর্স পাওয়া সম্ভব তবে সেই কোর্সের কোয়ালিটি এনসিউর করা অনেক টাপ। যে বিধায় উক্ত আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্দিষ্টভাবে কোনো একটি সিঙ্গেলকেও ম্যানশন করতে পারলাম না। তবে যদি আপনি ইতিমধ্যে স্পেসিফিক কোনো একটি সেক্টর সিলেক্ট করতে সক্ষম হয়ে থাকেন, তাহলে দয়া করে কমেন্টে তা জানান, অবশ্যই আমরা চেষ্টা করবো, সে টপিকের উপর আপনি কার কোর্স কিংবা ফ্রি ইউটিউব ভিডিও দেখলে উপকৃত হবেন, তাদের ম্যানশন দেওয়ার।
সর্বপরি, ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিজেকে কোনো ধোঁকাবাজের খপ্পরে ফেলবেন না। অন্যথায় নিজের সময় ও টাকা নষ্ট হবে। প্রথমে রিকামন্ড করবো, ইউটিউবে থাকা ফ্রি ভিডিওগুলো কাভার করুণ। এরপর চেষ্টা করুণ অ্যাডভান্ড শিখার জন্য কোর্স করতে। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন