একটি ভালো ভিজিটিং কার্ড শুধু আপনার তথ্যই অন্যদের কাছে তুলেই ধরে না, বরং পার্সোনাল লেভেল কারো সাথে পরিচিতিরও সুযোগ সৃষ্টি করে। এই জন্য, সকল ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমের মাঝেও, ভিজিটিং কার্ডের গুরুত্ব অনন্য, কারণ এর মত হিউমেন ফ্যাক্টর ইউটিলাইজ করার সুযোগ জন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে নেই।
একটি ভালো ভিজিটিং কার্ড আপনার ব্র্যান্ডের এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করে, এটি একটি পাওয়ারফুল টুল যা আপনাকে অন্যদের কাছে মেমরেবল করে তুলতে সাহায্য করে।
তো, একটি ভিজিটিং কার্ডে কি কি তথ্য থাকা উচিৎ?
অনেক কার্ড মানুষ একবার দেখে বাড়ি ফেরার আগেই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। এখানে ৭ টি ভিজিটিং কার্ড টিপস দেয়া হল যা আপনার কার্ডকে শুধু মাত্র একটি ফেলনা কাগজের টুকরো থাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হতে দেবে না। বরং, একটি শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠতে সাহায্য করবে, যা পরবর্তীতে আপনার ব্যবসায় একটি চুম্বকের ন্যায় কানেকশন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
১। লোগো ও ট্যাগলাইন
কি কি তথ্য কার্ডে লিখবেন তা ঠিক করার আগে দেখে নিন আপনার লোগো ও ট্যাগলাইন ঠিকমত দেয়া হয়েছে কিনা। যেহেতু আপনার ভিজিটিং কার্ড আপনার ব্র্যান্ডের একটি এক্সটেনশন, এতে অবশ্যই আপনার ব্যবসায়িক পরিচিতি থাকতে হবে, এই কার্ড যেন এর সাইজ, রঙ ও অন্য সকল বৈশিষ্টের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার পরিচিতি তুলে ধরে।
একজন বাহক যেন কার্ডটি হাতে নেয়া মাত্রই পরিষ্কারভাবে আপনার ব্যবহার ব্র্যান্ড ও পরিচিতি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে, পরবর্তীতে যে আপনার ব্যবহার লোগো বা নাম দেখলেই যেন সাথেসাথে আগে দেখা ব্র্যান্ডিং এর সাথে মিলিয়ে চিনে ফেলতে পারে। অন্যত্র যেমন আপনার ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও বা নিউজলেটারের ব্র্যান্ডিং দেখে সে আপনার ভিজিটিং কার্ডের কথা মনে করে চিনে নিতে পারবে।
২। নাম ও জব টাইটেল
এই ব্যপারে না বললেও বোঝা যায়, তাই না? কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন, কত মানুষ এই সামান্য জিনিষটি ভুল করে বসে থাকে। প্রথমে আপনার নাম। ধরেন আপনার নাম শামীমুজ্জামান, কিন্তু আপনি নিজেকে শামীম নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন, বা আপনাকে সবাই স্যাম নামেই চেনে – এক্ষেত্রে, আপনাকে মানুষ যেই নামে চেনে, সেই নামই কার্ডে ব্যবহার করতে হবে, যে নামে আপনার পরিচয় মানুষ জানেনা, তা কার্ডে ব্যবহার করা দরকার নেই। ভিজিটিং কার্ডে গৎবাঁধা ফর্মাল ইনফরমেশন লিখে না দিয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরলে, মানুষ আপনার সাথে পরিচিত হতে আগ্রহী হবে, কথা বলতে কৌতূহলী বোধ করবে। আপনি মানুষের কাছে যেই নামে সম্বোধিত হতে চান, কার্ডে সেই নাম ব্যবহার করলে অযথা অনেক বিব্রতকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
জব টাইটেল কি দেবেন? একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ব্যবসায়ীক কাজে অনেক পদবীই হয়ত আপনি জীবণে ব্যবহার করেছেন নিজের পরিচয় দিতে। তো, কোনটি আপনি আপনার ভিজিটিং কার্ডে লিখবেন? সেই ডেসিগনেশন ব্যবহার করুন – যেটা দিয়ে আপনার ব্যবসায় আপনার কাজ সম্পর্কে টাইটেলটি পড়েই ধারনা পাওয়া যায়। – পরবর্তীতে সেই কাজের জন্যই মানুষ আপনাকে কাজে নিতে চাইবে।
আমি বললে বিশ্বাস করবেন না বিভিন্ন কনফারেন্সে আমি কত মানুষের ভিজিটিং কার্ড পেয়ে থাকি, সেগুলার অনেকগুলা দেখেই বোঝার উপায় নেই, যে কার্ডটি দিলো যে আসলে কর্মজীবণে কি কাজ করে। তার পরিবর্তে তারা নামের পাশে সিইও, ফাউন্ডার বা প্রেসিডেন্টের মত ফালতু টাইটেল লাগিয়ে বসে থাকে। আপনার মনে হতে পারে যে এমন করা অনেক স্টাইলিশ একটা ব্যাপার, কিন্তু এটা খুবই অফলপ্রসূ একটি ভুল। বাসায় ফেরার আগেই আমি ভুলে যাই, যে কার্ড দিয়েছিল সে কি কাজ করে বা তাকে আমি আদৌ কেন কোন কাজের জন্য কল করব। জেমনঃ যদি কার্ডে লেখা থাকে – আবুল, ফাউন্ডার অফ ভিডিও মাস্টার্স, তাহলে সেটা আদতেই কাজের কোন কিছু হয়না। “তাহলে আবুল কি ভিডিওগ্রাফার ছিল?” নাকি ভিডিও এডিটর? নাকি ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটার? ধ্যাত, ভুলে গেছি।” ধ্যাত্তারি!
নিজের কাজের কথা তুলে ধরতে ভিজিটিং কার্ডে একটি অর্থবহ পদবী ব্যবহার করা উচিৎ। উদাহরণস্বরূপঃ
ভিডিও মাস্টার্স
আবুল হোসেন, ভিডিওগ্রাফার ও কো-ফাউন্ডার।
৩। যোগাযোগ
যোগাযোগের তথ্য হচ্ছে ভিজিটিং কার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ। আপনি যদি চান মানুষ আপনাকে কন্টাক্ট করুক, তাহলে অবশ্যই তাদের যোগাযোগের উপায় করে দিতে হবে। কিন্তু এতো উপায়, এর মধ্যে কন্টাক্ট করার কোন উপায়গুলো কার্ডে দেবেন? এর উত্তর হচ্ছে, সব “ডাইরেক্ট উপায়গুলো”।
স্বভাবতই ভিজিটিং কার্ড প্রস্পেকটিভ ক্লায়েন্টদের সাথে একটি পার্সোনাল কানেকশন তৈরি করতে চেস্টা করে। বাজারী সাধারণ মেইল যেমন info@DomainName.com বা দেখতে গুরুত্বহীন কোন অ্যাড্রেস ব্যবহার করে যেই কানেকশন নষ্ট করা একদমই উচিৎ নয়। বা ল্যান্ডফোনের জেনারেল লাইন, যেখান থেকে আপনাকে খুজে পেতে কয়েকটা এক্সটেনশন পার করতে হয়।
আবার বাড়ির নাম্বারও দেয়া যাবে না, যেখানে ফোন করলে আপনার ৫ বছরের বাচ্চা ফোন তুলে ক্লায়েন্টের সাথে গল্প জুড়ে দিতে পারে। তাই, আপনার পার্সোনাল নাম্বার দিতে হবে, বা আপনার পার্সোনাল ইমেইল অ্যাড্রেস, যেগুলো একমাত্র আপনিই ব্যবহার করে থাকেন। যেমন, yourname@gmail.com বা আপনার ডোমেইনে হোস্টেড আপনার নিজের ইমেইল অ্যাড্রেস। বাসার নাম্বারের মত জেনারেল অপশন ব্যবহার করা খুবই আনপ্রফেশনাল।
সবসময় পার্সোনাল ও ডাইরেক্ট কন্টাক্ট ইনফরমেশন ব্যবহার করে কার্ড তৈরি করবেন। এতে ব্যবসা থেকে প্রাইভেট লাইফ সেপারেট করা সহজ হয়।
কার্ডে কি ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস দেয়া দরকার আছে? যদি আপনার ব্যবসার জন্য একটি কারখানা বা স্টুডিও থাকা আবশ্যক হয়, কেবল তবেই দেবেন। আপনি যদি ফটোগ্রাফার হন, যে বিভিন্ন স্পটে গিয়ে ছবি তুলে থাকেন, তবে কার্ডে আপনার কোন এরিয়ায় কাজ করেন তা উল্লেখ করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি কপিরাইটার হয়ে থাকেন, এবং বেশিরভাগ কাজ অনলাইনে করে থাকেন, তবে ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস কার্ডে উল্লেখ করার কোন মানে হয়না। এক্ষেত্রে তা অপ্রয়োজনীয়।
৪। আপনার ওয়েবসাইট, কিন্তু আপনার হোমপেজ নয়।
কেন আপনার ওয়েব অ্যাড্রেস আপনার কার্ডে দেবেন? শুধু আছে বলেই দিতে হবে, এমন নয়। সে তো আজকাল সবাই দেয়। আশা করা যায় যে, যাদের সাথে দেখা হওয়ার পর এত ইমপ্রেসড ছিলো যে বাড়ি ফিরেই আপনার সাইট চেক করে দেখবে, যেন আপনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারে। তাহলে তাদের কি এমন একটি পেজে পাঠানো উচিৎ না, যেই পেজে তাদের জন্য উপযুক্ত ইনফরমেশন থাকবে?
একটি পেজ তৈরি করুন ওয়েবসাইটের জন্য, যেখানে একটি স্বাগতম বার্তা বা শর্ট ভিডিও থাকবে যা আপনার পরিচয় তুলে ধরবে এখন দর্শকদের বোঝাতে সাহায্য করবে যে কি কি কাজে আপনি তাদের সহায়তা করতে পারেন। একটি স্পেশাল অফার দিয়ে রাখতে পারেন, বা কোন বোনাস যেটি ভিজিটররা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, আপনার সাইটে ভিজিট করার পুরষ্কার হিসেবে। সংক্ষেপে, ওয়েবসাইটের ব্যবহারে যেন নতুন কানেকশনগুলো আরো দৃঢ় হয়, যাদের কাছে আপনার ভিজিটিং কার্ড আছে, তাদের সাথে।
একটি প্রো টিপঃ আপনার সাইটের URL যেন খুব ছোট ও সহজ হয়, যা টাইপ করতে সুবিধা। ৩ লাইন লম্বা ওয়েব অ্যাড্রেস টাইপ করে কেউই আপনার সাইট ভিজিট করতে আগ্রহ পাবে না। সাইট টি সুন্দর ও সিম্পল রাখুন, এতে করে সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। ব্যক্তিগতভাবে, আমি “domainname.com/magic” নামের মত কোন ওয়েব অ্যাড্রেস খুলে দেখতে বেশি আগ্রহী হব। আবার সেভাবেই “domainname.com/landing-page.”নামটি তেমন আকর্ষনীয় না।
৫। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল
আপনার কার্ডে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলাও অ্যাড করুন কিন্তু সবগুলো নয়। সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল আমাদের জীবণের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ট্র্যাডিশনাল ও ডিজিটাল ব্যবসা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপুর্ণ। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ না থাকা মানে হচ্ছে কাস্টমারের কাছে আপনার অস্তিত্ব না থাকা। আদতে আক্ষরিকভাবেই এখন এই অবস্থা।
কিন্তু এই জন্য আপনার সব ৭/৮ টা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল কার্ডে উল্লেখ করতে হবেনা। এখানে আমরা সিম্পল ডিজাইন রুল ফলো করে কাজ করব যা নিয়ে নিচে ৬ নাম্বার পয়েন্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার সাথে কানেক্ট করার মত যথেষ্ট উপায় কার্ডে উল্লেখ করবেন, কিন্তু চয়েসের আধিক্যে যেন কেউ অনিশ্চয়তায় না ভোগে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার একটা কি দুইটা প্রোফাইল দিলেই যথেষ্ট, যা থেকে সবাই আপনার কাজের সম্পর্কে একটি আইডিয়া পাবে।
ক্রিয়েটিভ পার্সোনাল বিজনেস কার্ড যাতে সোশ্যাল ফিচার রয়েছে। টেমপ্লেটটি GraphicRiver এ পাওয়া যাবে।
উদাহরন্সরুপঃ আপনি ফটোগ্রাফার বা ভিডিওগ্রাফার হলে কার্ডে আপনার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করুন। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলে Behance প্রোফাইল অ্যাড করুন। লেখক বা ব্লগার হলে আপনার লেখা যেখানে রয়েছে, যেমন medium এর প্রোফাইল অ্যাড করতে পারেন। আপনার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল প্রোফাইলের লিংক দিন, বাকিগুলো না দিলেও হবে।
৬। হোয়াইট স্পেস
হ্যা। হোয়াইট স্পেস এতটাই ইম্পর্টেন্ট, যে এটি নিয়ে আলাদা একটি পয়েন্ট লিখতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে আমরা কিছু এমন ভিজিটিং কার্ড দেখি, যেগুলার মধ্যে ডিজাইন ও তথ্য একটাই ঘিঞ্জি অবস্থায় থাকে যে দেখে অসুস্থ অনুভব হয়। তাইনা? মনে রাখতে হবে যে কার্ডের পয়েন্টগুলো দিয়ে মানুষকে বিরক্ত করে ফেলা যাবেনা, বরং কুশলাদি অবলবদলের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। ঘিঞ্জি কার্ড দেখে সবাই বিরক্ত হয়।
হোয়াইট স্পেস এর রঙ যে সাদাই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সহজে বলা যায় যে, কার্ডে দেয়া তথ্যের আগে পরে যথেষ্ট ফাঁকা যায়গা থাকতে হবে, যেন ডিজাইন নান্দনিক হয়। এই মিনিমাল বিজনেস কার্ড ডিজাইন গুলো দেখতে পারেন, যেখানে অপ্রয়োজনীয় ক্লাটার নেই।
৭। সৃজনশীলতা
এই শেষ টিপস টি হচ্ছে ভিজিটিং কার্ড ডিজাইনের সকল টিপসের টেক্কা। এই সকল টিপসগুলো প্র্যাকটিকেল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত, যা দিয়ে সাধারণত সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবুও, লাইন কে লাইন সব টিপস ও রুল ফলো করে গেলেও ভালো একটি কার্ড ডিজাইন করা সম্ভব নাও হতে পারে, যদিনা যেটা বোরিং ও প্রেজেনটেশন ভালো না হয় ( যেমন আমরা আগেও অনেকবার হয়ত দেখেছি), তাহলে এই কার্ডের মাধ্যমে কেউই আপনার সাথে সহজে যোগাযোগ করবে না। সে যত হাজার কার্ডই আপনি বিলান না কেন।
তাই উপস্থাপনায় ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে কার্ডের ডিজাইনে নিজেকে তুলে ধরতে হবে!
কার্ড ডিজাইনের মাধ্যমেই কিন্তু মানুষকে জানানো সম্ভব যে আপনি কি করেন, তাহলে শুধু কার্ডের পদবী দেখে না মানুষকে আন্দাজ করতে হবেনা। আপনি মিউজিশিয়ান হলে কার্ডের আকার একটি রেকর্ড প্লেয়ার না ক্লাসিক পিয়ানোর মত ডিজাইন করতে পারেন, বা নিজের মিউজিকের সাথে মিল রেখে কোন বাদ্যযন্ত্রের মত।
ফটোগ্রাফার হলে মডার্ন ক্যামেরার মত কার্ড ডিজাইন, বা দিতে পারেন কোন ক্লাসিক কার্ডেরই আদল ( সেটিও অবশ্যই ক্রিয়েটিভ হতে হবে), যদি সেভাবেই আপনার ব্র্যান্ড বেশি ফুটে ওঠে, যেমন এই ফটোগ্রাফার বিজনেস কার্ডগুলো।
ফটোগ্রাফারদের জন্য ক্রিয়েটিভ বিজনেস কার্ড (পাওয়া যাবে Graphic River এ)
মানুষকে হাসান, তাদের আগ্রহ উদ্রেক করুন, তাদের নিজে থেকেই বুঝে নিতে নিন না বলা কথা। সৃজনশীল হন। আর যদি নিজে থেকে একটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া বের করতে না পারেন, তাহলেও টেনশন নেই। আপনি একটি বিজনেস কার্ড ডিজাইন বেছে নিয়ে ওটার উপর নিজের কার্ড ডিজাইন শুরু করতে পারেন। এমন কারো সাথে যোগাযোগ করুন যার ডিজাইন আপনি পছন্দ করেন, তাদের মতামত নিন, কিভাবে আপনার কার্ড বানাবেন।
যেটাই করবেন ভাবেন না কেন, সেটিই করুন যেটি আপনার ব্যবসার জন্য বেষ্ট হয়! মানুষকে আপনার সাথে যোগাযোগ করার উপায় করে দিন – সে যদি কেউ শুরু এই বলার জন্য ফোন করে যে, “আপনার ভিজিটিং কার্ডটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে”, তাই সই! এখান থেকেই সকল নেটওয়ার্কিং শুরু হয়। পরে তা আরো দৃঢ় কানেকশনে পরিবর্তন করার সুযোগ পাওয়া যায়।
তো এখন ভিজিটিং কার্ড সম্পর্কে সব জানার পর এখন আপনি কেমন কার্ড নিজের জন্য বানাতে চান? আপনার কি কোন বিজনেস কার্ড এর ডিজাইন দেখে অনেক ভালো লেগেছে? নিচে কমেন্ট করে সেটা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানান!
নতুন নতুন টিপস্ ও রেডিমেট ডকুমেন্ট ফরমেট পেতে
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন